ভোজ্যতেল আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশিয় শষ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সয়াবিন তেলের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণ এবং সূর্যমূখি,সরিষা ,তিল ও চিনাবাদাম উৎপাদন প্রযুক্তির উপর কুমিল্লা সদর উপজেলায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

জাইকা’র অর্থায়নে সোমবার (১৪ জুন) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ আজ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে চাহিদার তুলনায় ভোজ্যতেলের মোট দেশজ উৎপাদন অনেক কম হওয়ায় প্রতি বছর ঘাটতি মোকাবেলায় বিদেশ হতে ভোজ্যতেল আমদানি করতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে। দেশে ভোজ্যতেলের মূল উৎস হলো সরিষা এবং সামান্য পরিমাণে সূর্যমুখী, সয়াবিন ও তিল এবং রাইস ব্রান যা থেকে সর্বমোট ৫.০ লক্ষ টনের কাছাকাছি ভোজ্যতেল পাওয়া যায়। এ হিসেবে দেখা যাচ্ছে দেশের প্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলের ঘাটতি থাকে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ। বিদেশ থেকে আমরা যে সয়াবিন আমদানি করছি তা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই আমাদের বিদেশী নির্ভরতা কমানোর পাশাপশি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশীয় শষ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। সরিষার জমিতে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে পরাগায়নের মাধ্যমে ফলন বাড়ানো যাবে এবং মধু আহরণ করা যাবে। জমিতে সরিষার চাষ করলে সরিষার ফুল ও সরিষা ঝরে পড়ে মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এটি পরবর্তীতে বোরো আবাদে অধিক ফলন পেতে সার হিসেবে সাহায্য করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল,মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান এড. হোসনেয়ারা বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোর্স সমন্বয়ক ও আদর্শ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আউলিয়া খাতুন। আরো বক্তব্য রাখেন ইউজিডিপি’র প্রকল্প কর্মকর্তা খালিদ মোরশেদ। প্রশিক্ষণে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৪০জন কৃষক অংশ নেন। কর্মসূচি বাস্তবায়নে রয়েছে কুমিল্লা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।