জাতীয় হিন্দু মহাজোট কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মানিক ভৌমিকের আচরণ সাম্প্রদায়িক উল্লেখ করে মহানগর কৃষকলীগের আহবায়ক মো. খোরশেদ আলম বলেছেন, একের পর এক মিথ্যাচার করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের দৈয়ারা দক্ষিণপাড়া রেলগেইট জামে মসজিদ নির্মাণ বন্ধের ষড়যন্ত্র করছেন হিন্দু মহাজোটের ওই নেতা। মসজিদের জন্য ক্রয়কৃত ও দানকৃত সম্পত্তিকে মানিক ভৌমিক নিজের দাবী করে কতিপয় লোকের ইন্ধনে দৈয়ারা এলাকাসহ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ ও হিন্দু সমাজের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টির পায়তারা শুরু করেছেন।
শনিবার (১২ জুন) সকাল ১১টায় কুমিল্লা টাউনহলের মুক্তিযোদ্ধা কর্ণারে দৈয়ারা দক্ষিণপাড়া রেলগেইট জামে মসজিদ কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি কৃষকলীগ নেতা খোরশদ আলম। সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. জহিরুল ইসলাম মসজিদের জন্য যেসব ব্যক্তি জায়গা দান করেছেন এবং যাদের কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে তাদের পরিচিতি ও দলিল নম্বর উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ কমিটির সভাপতি কৃষকলীগ নেতা খোরশদ আলম অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন ধরে দৈয়ারা এলাকার বাসিন্দা মানিক ভৌমিক একটি মহলের প্ররোচনায় ঢাকা ইসকন মন্দিরে, কুমিল্লা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে, কুমিল্লা টাউনহলের সামনে মানববন্ধন করে মসজিদ নিমার্ণের নামে আমার বিরুদ্ধে তার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের মিথ্যাচার করেছে।যে পুকুরের জায়গায় মসজিদ নির্মিত হবে এটি একাধিক মালিকের কাছ থেকে প্রায় ২২ দশমিক ৯ শতক জায়গা দান ও ক্রয়সূত্রে নেয়া হয়েছে।
কৃষকলীগ নেতা খোরশদ আলম বলেন, মসজিদটি দৈয়ারা রেলগেইট এলাকায় অনেক আগ থেকেই ছিল। রেলওয়ে উন্নয়নের জন্য ভূমির প্রয়োজনে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলতে হয়। সরকার থেকে ভূমির ক্ষতিপূরণ অর্থ মসজিদ কমিটি পেয়েছে। কিন্তু নতুন করে মসজিদ নির্মাণের জন্য জায়গার প্রয়োজন হওয়ায় গ্রামবাসীর উদ্যোগে পুকুরের ৬জন মালিক থেকে দান ও ক্রয়সূত্রে ২২ দশমিক ৯ শতক জায়গা নেয়া হয়। দলিলমূলে এসব জায়গা নেয়া হয়েছে। আল্লাহর ঘর মসজিদ তো কোনভাবেই অন্যের জায়গা দখল করে নির্মাণ করার সুযোগ নেই। তাহলে আমরা কেনো মানিক ভৌমিকের জায়গা নিতে যাবো।
মসজিদ কমিটির সভাপতি কৃষকলীগ নেতা খোরশদ আলম বলেন, পুকুরের জায়গার মোট পরিমান প্রায় ২৫৪ শতক। পুকুরে থাকা মানিক ভৌমিকের পৈত্রিক অংশের একবিন্দু জায়গা মসজিদ নিমার্ণের জন্য নেয়া হয়নি। আমরা তাকে আহবান জানিয়েছি, দেশের বিজ্ঞ ভূমিবিশেষজ্ঞ নিয়ে বসুন, তার বা তার পৈত্রিক কোন জায়গা ২২ দশমিক ৯ শতকের মধ্যে পড়েছে কিনা। যদি সে প্রাপ্য হয় তাহলে নিয়ে যাবে। কিন্ত আমাকে ভূমি দখলদার বলে মানিক ভৌমিক আমার সামাজিক, রাজনৈতিক সম্মান ক্ষুন্ন করছে। আমি মসজিদ কমিটির সভাপতি হওয়ার আগেই উদ্যোক্তরা ওই পরিমান জায়গা দান ও ক্রয়সূত্রে নিয়েছেন। এই মসজিদ ক্রয়কৃত ও দানকৃত জায়গাতেই নির্মিত হবে। মসজিদ নির্মাণ নিয়ে মানিক ভৌমিকদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। মানিক ভৌমিকের সাম্প্রদায়িক আচরণ এলাকার মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে কোন ফাটল ধরবে না, ইনশাল্লাহ।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম