কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষক উত্তম কুমার রায় ও সামিউল আলমের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির ২৪ শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করেছেন। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার ১১ ডিসেম্বর দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মলেনে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ২৪ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাপক সুবিধা গ্রহণকারি ওই দুই শিক্ষক স্বেচ্ছাচারিতা ও পরিকল্পিতভাবে ২৪ জন শিক্ষার্থীকে এসএসসি ফরম পূরণ করতে দিচ্ছে না, এছাড়াও উত্তম কুমার রায় ও সামিউল আলম দীর্ঘদিন ধরে কিছু শিক্ষার্থীকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করে আসছেন।
অভিভাবকরা আরও অভিযোগ করেন, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রি টেস্ট পরীক্ষায় অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ২৪ জন শিক্ষার্থী বাদে বাকিদের ফরম পূরণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
অভিভাবকরা বলেন, ২৪ জন শিক্ষার্থীদের চেয়েও বেশি বিষয়ে ফেল করা অনেক শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। যা অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারিতার শামিল।
এ বিষয়ে অভিভাবকগণ জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ জানানোর পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম কুমার রায় ও সামিউল আলম অভিভাবকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দেন। বর্তমানে ওই ২৪ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে অভিভাবকরা সুনির্দিষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ফেল ও পাশের সংখ্যা বিচার করে ওই ২৪ জন শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ টিটু, পান্না আক্তার, নাহিন সুলতানা, শম্পা রানী চক্রবর্তী, মাকসুদা আক্তার, সাদিয়া সুলতানা, রিনা আক্তার, রিতা রানী দেব, দীপা সিংহা, টুম্পা দত্ত, সেলিনা আক্তার সহ আরো অনেকে।
এদিকে এ বিষয়ে শিক্ষক সামিউল আলম অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে জানান, টেস্ট পরীক্ষায় ২৮০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০৮ জন ফেল করেছেন। ১০৮ জনের মধ্য থেকে মেধার মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকদের সমন্বয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য তালিকা করা হয়েছে, এখানে কোন ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা হয়নি।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম