ছবি: কুমিল্লা টাউন হলের ১৩২ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি #
কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, কুমিল্লা টাউন হলের (বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন)পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন আঙ্গিকে সম্পূর্ণ আধুনিকায়ন ও বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।তিনি এপ্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা কর আরও বলেন,কুমিল্লা টাউন হলের ডিজিটাল সার্ভে করা হয়েছে যা কুমিল্লার বিশিষ্টজনদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে।
কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও নগর মিলনায়তনের (কুমিল্লা টাউন হল) ১৩২ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি একথা বলেন।
শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে টাউনহল মিলনায়তনে এসভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-সভাপতি মিয়া মোঃ গিয়াস উদ্দিন। সভাপরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও নগর মিলনায়তনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিগত সালের কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন করা হয়। এরপর ঐতিহাসিক এ প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িতদের যারা বিগত বছরে পরলোকগমণ করেছেন তাদের স্মরণ করে শোক প্রস্তাব পাঠ করা করা।বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।
প্রসঙ্গত,শতাব্দী পার হওয়া কুমিল্লা টাউনহল তথা গণপাঠাগারটি ঘিরে রয়েছে ত্রিপুরার মহারাজার ইতিহাস সমৃদ্ধ কাহিনী। তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য কিশোর বাহাদুরের জমিদারি ছিল কুমিল্লাতে।গণপাঠাগারের শৈল্পিক কারুকাজের দ্বিতল বিশিষ্ট ভবনটি মহারাজার কাছারি বাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৮৮৫ সালের দিকে মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য কিশোর বাহাদুর পাঠাগারের জন্য এভূমি বরাদ্দ দেন। মহারাজার নাম অনুযায়ি পাঠাগারের নামকরণও করা হয়। পাঠাগারটি করার পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা ছিল তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এফএইচবি স্ক্রাইনের। প্রায় ১শ’ ৩৫ বছরের ইতিহাসে বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ব্যাপক সমৃদ্ধতা অর্জন করে। যার পেছনে রয়েছে কুমিল্লার বিভিন্ন কৃর্তিমান মানুষের সহযোগিতা।পাঠাগারে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, রাজমালা থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মনীষীদের রচনাসমগ্র রয়েছে। এখানে বাংলা ভাষার ২৪ হাজার বই ও ইংরেজি ভাষার ছয় হাজার বই রয়েছে। ৩০ হাজার বই দিয়ে ৬৩টি আলমারি সজ্জিত রয়েছে। এছাড়াও পাঠাগারে শতবর্ষের পুরনো অনেক আসবাবপত্র রয়েছে যা বীরচন্দ্র গণপাঠাগারের স্মৃতি ধরে রেখেছে। এই পাঠাগারে মহাত্মা গান্ধী, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সঙ্গীতাজ্ঞ শচীন দেব বর্মনসহ আরো অনেক কীর্তিমান ব্যক্তির পদচারণা ঘটেছে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম