সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপ বাড়লেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় গ্রেফতারও হচ্ছে। বিশেষ করে ইদানিং সময়ে গাঁজা পাচারের ঘটনা বেশি ঘটছে। গত প্রায় সাড়ে তিন মাসে কুমিল।লা জেলা পুলিশ দুই টন গাঁজা উদ্ধারের মাইল ফলক অতিক্রম করেছে। সেইসাথে এক হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের দিক নির্দেশনায় জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতিতে অটল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিমের কর্মকর্তা পরিমল দাস পিপিএম এর নেতৃত্বে সম্প্রতি কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পশ্চিমপাড়ের চেয়ারম্যান গলির একটি বাসা থেকে দশ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের মৃত আলফু মিয়ার পুত্র ইকবাল হোসেন (৪৩) এবং একই উপজেলার উত্তর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে আমেনা বেগম (৩৫)।
জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এলআইসি টিমের এসআই পরিমল দাস বলেন, আমরা গোপন সূত্রে জানতে পারি, নগরীর ধর্মসাগর পশ্চিম পাড়ের চেয়রম্যান গলির একটি বাসার ৬ তলার একটি ফ্লাট মাদক মজুদের জন্য ভাড়া করে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে। ২৪ এপ্রিল বিকেলে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশী চালিয়ে দশ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা।
এলআইসি টিমের ওই কর্মকর্তা জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম