গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি ও চাহিদার দিক থেকে কুমিল্লায় বিদ্যুতের সার্বিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হলেও আশ্বিনের গরমে বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, শিল্প-কারখানায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ঘটনা কাজ-কর্ম ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। প্রতিদিন কমবেশি লোডশেডিং ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রাহকরা।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর, গাংচর, গর্জনখোলা, শুভপুর, চানপুর, চকবাজার, কোতয়ালী থানা রোড, রাজগঞ্জ, বজ্রপুর, দারোগাবাড়ী, মনোহরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা (রিপোর্ট টাইম) পর্যন্ত অন্তত ৯ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে। শনিবারের প্রচন্ড গরমের সময়ে ভোর থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৫বার বিদ্যুতের লোডশডিং সময় ছিল প্রতিবারে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা। আর বিকেলে ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৪ বারের লোডশেডিংয়ে পাঁচ ঘন্টায় বিদ্যুৎ মিলেছে মাত্র দুই ঘন্টা। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সর্বশেষ ৮টা ৪০ মিনিটে শুরু হওয়া লোডশেডিং শেষ হয় রাত ৯টা ৩৬মিনিটে। এরপর রাতে আর কতোবার লোডশেডিং হবে এটা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাল বলতে পারবেন।
কুমিল্লায় প্রতিদিন শহর ও শহরতলীর গ্রাহকরা সকাল দুপুর, রাতে এমনকি ভোরেও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতিদিনই দিনে-রাতে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এক ঘন্টা থেকে দেড় দুই ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ আসছে। বাসাবাড়িতে নিরপদে মটর চালু করতে না পারায় পানির সংকট দেখা দিচ্ছে।ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মধ্যে টিভি, ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন ঘরের লোকজন। করোনায় স্কুল কলেজ খোলা না থাকলেও ঘরে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। স্থানীয় পত্রিকা অফিসগুলোতে এবং অনলাইন নিউজ মিডিয়া হাউজগুলোতে কাজের চরম ব্যাঘাত ঘটছে। আবার ছাপাখানা, ডিজিটাল সাইনের ব্যবসা, কম্পিউটার কম্পোজ, ফটোকপিয়ার দোকান ও এটিএম বুথের গ্রাহকরা দিনে রাতে একাধিকবার হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়ছেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম