কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা গ্রহণের পর দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানার চকবাজার ফাঁড়ি পুলিশ।
ওই এলাকার বাসিন্দা ৯ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ প্রতিবেশি একটি পরিবারের লোকদের নির্যাতনের কারণে তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা গত দুইদিনে নগরীতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।বিশেষ করে নবজাতকের মরদেহ কোলে নিয়ে তার পিতা সোহেল আরমান বিচার চেয়ে নানা জায়গায় যায়। পরে সোমবার ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে থানায় গেলে সোহেল আরমানের স্ত্রীর অভিযোগ কোতয়ালী থানা পুলিশ গ্রহণ করে। আর ওই রাতেই পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতকের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার অধীন চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কিবরিয়া জানান, এ ঘটনায় শিল্পী আরমান বাদী হয়ে দাখিল করা অভিযোগটি সোমবার রাতে এফআইআর হিসেবে নেয়া হয়। এ মামলায় আবুল কালাম, তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম, মেয়ে লিমা, ছেলে শরীফ, আরিফ ও মেয়ের জামাতা সফিককে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আবুল কালাম ও তার ছেলে শরীফকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়া পাড়ার সোহেল আরমানের সঙ্গে বসতবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির তার মামা আবুল কালামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আবুল কালামের পরিবারের লোকজন সোহেল আরমানের স্ত্রী শিল্পী আরমানকে মারধর করেন। একপর্যায়ে আবুল কালামের স্ত্রী শাহনাজ বেগম সোহেল আরমানের গর্ভবতী স্ত্রী শিল্পী আরমানের পেটে লাথি মারেন। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই গৃহবধূ ছেলেসন্তান প্রসব করেন এবং প্রসবের পর নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর মৃতসন্তান কোলে নিয়ে সোহেল দম্পতি বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানায় যান। গৃহবধূ শিল্পী আরমান বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন। রাতে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নেয়া হয়।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম