উচ্চসিত প্রশংসা আর আবেগঘন পরিবেশে কুমিল্লা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিনকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাসিক সভা শেষে ওই নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

কুমিল্লা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন বদলীজনিত কারণে চলতি মাসের শেষ দিকে ঢাকা শাহাবাগ বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে গবেষনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার কথা রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে প্রেষনে তাঁকে এ পদে পদায়ন করা হয়েছে।

উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট  মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল। অনুষ্ঠানে জাকিয়া আফরিনের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট হোসনেয়ারা বেগম বকুল, আমড়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক। এসময় উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিদায়ী সংবর্ধনায় সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন প্রজাতন্ত্রের একজন দক্ষ চৌকস কর্মকর্তা, তিনি কাজের প্রতি খুবই আন্তরিক যা অনেকের জন্য অনুকরনীয়। আশাকরি নতুন কর্মস্থলে গিয়েও কুমিল্লা সদরের মানুষকে যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করবেন তিনি।

বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন বলেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধি ,কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খুবই আন্তরিক। দায়িত্ব পালনকালে সবাই আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন সে কারণে তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ বলে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্,  বিসিএস ৩১তম ব্যাচের জাকিয়া আফরিন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়ে কুমিল্লা সদর উপজেলায় যোগদান করেন। দীর্ঘ তিন বছরে তাঁর কর্মদক্ষতা ও ব্যক্তিত্বের গুণে তিনি জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে একজন জনবান্ধন নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন।

বিশেষ করে পুরো করোনাকালীন সময়ে তিনি দূর্যোগ মোকাবেলায় সাহসি ভূমিকা রাখেন। মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে কখনো ছুটেছেন করোনা আক্রান্তের বাড়ি লকডাউন করতে ,কখনো আবার সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে, কখনো ছুটে গেছেন অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে। দায়িত্বের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নগরীসহ উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ছুটে চলেছেন দিবা-রাত্রি।