কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দেবপুর থেকে মরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগছে। সংস্কার কাজে ধীরগতি ও এলাকা ভেদে বিচ্ছিন্ন সংস্কার কাজের কারণে এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে।
দেশের ব্যস্ততম কুমিল্লা-সিলেট সড়ক পথে কুমিল্লা ছাড়াও চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মনবাড়িয়া , ভৈরববাজার কিশোরগঞ্জ, ময়ময়নসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ছাড়াও, মালবাহী, অসংখ্য ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লংভেহিকেল চলাচল করে।
সরেরেজমিন ঘুরে ও সড়ক-জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৯-২০২০অর্থবছরে ‘কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনম্যানট থেকে দেবিদ্বার পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারীর মাসে প্রথমে ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার ময়নামতি জেনারেল হাসপাতাল এর সামনে থেকে ময়নামতি সাহেবের বাজার পর্যন্ত কাজ সম্পন্নের পর আবারো অজ্ঞাত কারণে কিছু সময় কাজ বন্ধ থাকে।
মে মাসের শেষ দিকে দেবপুর বাজার এলাকায় কুমিল্লাগামী অংশের কিছু কাজ শেষে একই উপজেলার কংশনগর বাজারে সিলেটগামী অংশের কিছু কাজ সম্পন্নের পর আবারো দেবিদ্বার উপজেলা সদরে নতুন করে কাজ শুরু করে। এতে দেবপুর এলাকায় সিলেটগামী অংশে ভারী যানবাহন দেবে এবং কংশনগর এলাকায় যানচলাচল ধীরগতির কারনে প্রতিদিনই এখানে সৃষ্ট হচ্ছে মাইলের পর মাইল যানজট। এতে করে যানবাহনের যাত্রীসহ চালকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সম্প্রতি দেবিদ্বার এলাকায় কাজ শুরু হলে দেবীদ্বার সদর এলাকার বানিয়াপাড়া মাটিয়া মসজিদ থেকে নিউমার্কেট দৈনিক কাঁচা বাজার, হাসপাতাল গেইট ও থানা গেইট হয়ে জোবেদা খাতুন মহিলা কলেজ’ পর্যন্ত এবং মুরাদনগর উপজেলার ‘কোম্পানীগঞ্জ বাজার’ এলাকায় নিত্যদিনের যানজট সৃষ্ট হতে থাকে। এসব এলাকায় সড়ক ও জনপদের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা, দৈনিক বাজার, হকার এবং পৌরসভার ইজারায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ষ্ট্যাশন, ব্যটারী চালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, ট্রাক্টর’র দখলে থাকায় যানজট থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা।
কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া,কুমিল্লা-সিলেট,কুমিল্লা-কোম্পানীগঞ্জ,মুরাদনগর রুটে চলাচলকারী একাধিক পরিবহনের চালকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল অবস্থা। সংস্কার কাজ শুরুর পর দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। তারা আরো বলেন, রাতের বেলায় সংস্কার বা মেরামতের কাজ করলে জনদুর্ভোগ অনেকটা কম হতো।
জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আহাদউল্লাহ বলেন, ‘করোনার কারনে কাজের কিছুটা ধীরগতি হওয়ায় সংস্কার কাজ বন্ধ থাকে। এতে দূর্ভোগ বেড়ে যাওয়ায় যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগ হচ্ছে সাধারন মানুষের। এসব বিবেচনা করে আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি’।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম