ছবি: নিহত নাসিমার মা ও স্বজনদের আহাজারি। #

পনের বছর বয়সেই আদরের মেয়ে নাসিমাকে বিয়ে দেন। সংসারের কাজকর্ম তেমন বুঝেশুনে উঠেনি, আর এমন বয়সেই দিনকালের কথা ভেবে সাত-আট মাস আগে মেয়েকে সামাজিকভাবেই বিয়ে দেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের চেংগাড়া গ্রামের শাকিলের সাথে।  নাসিমার বাড়িও একই গ্রামে।  তার স্বামী প্রায়ই যৌতুকের জন্য মারধর করতো।  শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়েছে। আর খুনিটা পালিয়েছে।

লাশ উদ্ধার করে পুলিশ যখন মর্গের পথে তখনই বুক চাপরিয়ে আহাজারি করে কথাগুলো বললেন নাসিমার মা বিলকিস খাতুন।

রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই গ্রামের শাকিলের বসত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় নাসিমার লাশ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। এঘটনার পর পরই নাসিমার স্বামী শাকিল গা ঢাকা দেয়।

নিহত নাসিমার মা বিলকিস খাতুনের অভিযোগ, জামাতা শাকিল যৌতুকের কারণেই তার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজের দোষ আড়াল করার জন্য লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।  ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে  মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।