মশার কয়েল মশা মারার জন্য নয়, মশা তাড়ানোর কাজ করার কথা। কিন্তু বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়া আবার অনুমোদন আছে তবে নিম্নমানের মশার কয়েলে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট বেশি থাকায় মশাসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ও মরছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন দিনে হোক আর রাতে হোক মশার কয়েল যখন জ্বালানো হয় তখন ধোয়ার সাথে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট মানবদেহে প্রবেশ করছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে দেহে প্রবেশ করছে বিষ! যে বিষ ধীরে ধীরে শ্বাসনালীতে বড়ধরণের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। আর জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কুমিল্লার কনজ্যুমার এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।
নামি-দামি কোম্পানীর উৎপাদিত বা দেশের বাইরের আমদানি করা মশার কয়েলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুমিল্লায় নগর গ্রাম গঞ্জের ষ্টেশনারী ও মুদিমালের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের মশার কয়েল। এসব মশার কয়েলে রয়েছে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর মাত্রাতিরিক্ত অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। যা মশাসহ অন্য পোকামাকড় মেরে সাবাড় করে দিচ্ছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন বাজার ও এলাকার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বিএসটিআই’র লোগো ব্যবহার করা আকর্ষনীয় মোড়কে বিভিন্ন নামের মশার কয়েল থরে থরে সাজানো রয়েছে। এসব লোগোর আসল-নকল ক্রেতা বুঝে না। বিক্রেতার কাছে ক্রেতা সবসময় ভালোটাই আশা করে। কিন্তু অনেক বিক্রেতা অধিক লাভের আশায় ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন মাত্রাতিরিক্ত অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহৃত কয়েলের প্যাকেট। বিক্রির সময় বলে দিচ্ছেন, ‘মশা তো মরবেই সাথে পোকামাকড়ের বংশও বিনাশ হবে’। এধরণের কয়েল হাতে পেয়ে ক্রেতা তো খুশিই হবে। কারণ মশার সাথে অন্য পোকামাকড়ও মরবে। কিন্তু নিজের অজান্তেই ক্রেতা কয়েলের নামে কিনে নিচ্ছেন বিষ।
জেলার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব কয়েলে একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট উপাদান নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি রয়েছে তার ধোঁয়ার প্রভাব শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে ক্যান্সার, শ্বাসনালীতে সমস্যা দেখা দিত পারে। এছাড়া সন্তান সম্ভাবনা মা ও শিশু উভয়ই ক্ষতির শিকার হতে পারেন।
বিএসটি আই, স্বাস্থ্য বিভাগ, কীটনাশক কর্তৃপক্ষের মনিটরিং বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, যেসব মশার কয়েলে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট’র পরিমান বেশি রয়েছে তা সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাদের কয়েল কোম্পানী ও বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মান যাচাইয়ের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এধরণের মশার কয়েল জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াক এটা কেউই প্রত্যাশা করে না। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের নজরদারি প্রয়োজন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম