কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়নের শহীদনগর-জুরানপুর প্রায় দুই কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটি ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দের কারণে জন দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।বিশেষ করে বৃষ্টির সময়ে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, দাউদকান্দির উপজেলার শহীদনগর-জুরানপুর এ সড়কটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করা ছাড়াও সুন্দলপুর উচ্চ বিদ্যালয়,জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,প্রাথমিক বিদ্যালয়,মসজিদ-মাদ্রাসা,গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার,উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যেতে কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক শহীদনগর থেকে সুন্দলপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে আঞ্চলিক সড়কটি খানাখন্দে থাকার কারণে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।অব্যবস্থাপনা ও জলাবদ্ধতার কারণে এটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।সংস্কার ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা নেই এই সড়কের।সড়কটির দশপাড়া,ষোলপাড়া,ভাগলপুর ও শহীদনগর অংশে বেহাল অবস্থা।এসব স্থানে খানাখন্দ,কার্পেটিং ওঠে খোয়া বের হয়ে অনেক স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।বৃষ্টি না হলেও সড়কের অনেক স্থানে আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি থেকে আসা পানি জমে থাকে।পানি সড়কে জমে থাকার কারণে রাস্তার বিটুমিন নষ্ট হয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।সড়কের গর্তগুলো কাদাপানিতে একাকার।হেঁেট চলাচলও অনুপযোগী।সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে যায়। ফলে সিএনজি চালিত অটো রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের সময় এসব গর্তে পড়ে আটকে যায়।গর্তে অনেক সময় সিএনজি অটো রিকশা উল্টে যাওয়ার চিত্রও দেখা গেছে।
বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের নিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর।এ সড়কটি সংস্কারকাজ না হওয়ায় এলাকাবাসী ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছেন। খানাখন্দ ও গর্তের কারণে এতে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাতো দুর্ঘটনা। তাই অতি দ্রুত সড়কটির সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসীরা।
সুন্দলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.রাশেদুল ইসলাম লিপু বলেন,এ রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আসলাম মিয়াজী বলেন,আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে এই রাস্তা নিয়ে কেউ কোনো কাজ করেনি।আমি ইতিমধ্যে রাস্তাটি মেরামতের জন্য মেজর জেনারেল(অব.)সুবিদ আলী ভূঁইয়া এমপি মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছি।আশা করছি শিগগিরই রাস্তাটি মেরামতের মাধ্যমে মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো.আফসার হোসেন খন্দকার বলেন,এ সড়ক সংস্কারের জন্য চট্টগ্রাম প্রজেক্টে ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।চিঠি পেলে অতি দ্রæত কার্যক্রম শুরু করবো।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.মহিনুল হাসান জানান,মাসিক উন্ন্য়ন কমিটির সভায় উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি,যাচাই-বাচাই করে এলজিইডি’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেয়ার জন্য।প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে,এ সড়কের সংস্কার কাজের জন্য দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী বলেন,আমি দেখেছি সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ।উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের লোক,স্কুল,কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সড়টি সংস্কারে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম