‘চাকুরী আছে বেতন নেই’ এমন অবস্থায় দিন কাটছে ননএমপিও শিক্ষরদের। কুমিল্লায় বিভিন্ন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু হলেও শিক্ষকদের নেই এমপিও। এসব শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত নাম কা ওয়াস্তে বেতন দিয়ে মান-সম্মান নিয়ে জীবন ধারন করা দায় হয়ে পড়েছে। প্রাইভেট-কোচিং- টিউশানি দিয়ে আগে কোন রকম দিন কাটলেও চলমান করোনা সংকটে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূর্বিষহ জীবন কাটছে উচ্চতর শিক্ষা প্রসারে কাজ করে যাওয়া মানুষ গড়ার এসব কারিগররা।
রবিবার সকাল ১১টায় কুমিল্লা মহানগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে করে এমপিওভুক্ত কলেজের এসব ননএমপিও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে জনবল সংশোধন করে এমপিওভুক্তির যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতৃবৃন্দ বলেন,বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের নেতারা বলেন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এমপিওভুক্ত কলেজে চাকরি করেও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ও কর্চারীরা এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না।
তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয় না। দিলেও নিয়মিত বেতন দেয়না। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিগত ২৮ বছরে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিসিএস সহ বিভিন্ন সেক্টরে কর্মে যোগদান করেছেন। অথচ শিক্ষকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। “আর এই রকম অমানবিক নজীর পৃথিবীর কোথাও নেই”!
“ইতিমধ্যেই অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির উদ্যোগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী,মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান্যবর ভিসি,শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ফোরামের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়”
ফোরামের কুমিল্লা জেলা আহবায়ক নূরে আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মো রাজিমুল হক,মো নূরুল আমিন শামিম,মো দিদারুল আলম,মিনুয়ারা বেগম,শরিফুল ইসলাম,উম্মে সালমা,শরমিন সুলতানা,আবু হানিফ,রোমানা আক্তার ,তারেক মাসুদ,হাবিবুর রহমান প্রমুখ। পরে একইদিন বিকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন ।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় ১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১২ জন ননএমপিও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক রয়েছেন। এদের সিংহভাগ শিক্ষকই প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বেতনও পাচ্ছেন না।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম