ছবি: কুমিল্লা শহরের ঋষিপট্টি থেকে বিকাল ৪টায় তোলা ।।
কুমিল্লা শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকার কোরবানিদাতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাঝারি ও বড় সাইজের চামড়া সংগ্রহ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে এসে হতাশ হয়ে পড়েন মৌসুমি ব্যবসায়িরা। লাভ তো দুরের কথা চামড়ার কেনা দর পেতে আকুতি মিনতি করতে হয়েছে চামড়ার পাইকারি ব্যবসায়িদের কাছে।
শনিবার (১আগষ্ট) ঈদুল আজহার দিন বেলা ১টা থেকে শহরের ঋষিপট্টি ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসা চামড়া ব্যবসায়িদের কাছে মৌসুমি ব্যবসায়িদের এমন আকুতির দৃশ্য দেখা গেছে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। কেবল মৌসুমি ব্যবসায়িই নয়, কোরবানিদাতা পরিবারের অনেকেই চামড়া বিক্রি করতে এসে দাম শুনে ‘বোবা’ হয়ে গেছেন।
শনিবার কুমিল্লা শহরের প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়িরা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়া ১৫০টাকা থেকে ৩শ’ টাকা দরে কিনেছেন। আর দেড় থেকে দুই লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া কিনেছেন মাত্র ৪শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকায়।
গতবারের লোকসানের কষ্ট ভুলে এবারে লাভের আশায় চামড়া ব্যবসায় নামে মৌসুমি ব্যবসায়িরা। কিন্তু এবারেও তাদের কপাল খুলেনি। পাইকার ও আড়তে চামড়া বিক্রি করতে এসে হাহাকার ফুটে ওঠে মৌসুমি ব্যবসায়িদের চোখেমুখে।
মৌসুমি ব্যবসায়িদের অভিযোগ সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কোরবানির গরুর চামড়ার এমন দরপতন ঘটেছে। গত বছরের মতো এবারও সিন্ডিকেটধারিরা চামড়া বাজারের অবস্থা অস্থির করে তুলেছে। চামড়ার পাইকারি ব্যবসায়ি ও আড়তদারদের কারসাজিতে এবারেও তারা লোকসানে পড়েছেন।
এদিকে মৌসুমি ব্যবসায়িদের অভিযোগ নাকচ করে কুমিল্লার ঋষিপট্টির চামড়া ব্যবসায়ি ভজন ঋষি ও রতন ঋষি জানান, প্রতি চামড়ায় লবন ও মুজুরি খরচ দুইশো টাকার উপরে পড়ে। সেই হিসেব করেই পাইকারি দরে চামড়া কেনা হচ্ছে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম