ঈদের দিন রবিবার দুপুরের পর থেকে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়িদের কেউ রিকশা ভ্যানে, কেউ সিএনজি অটোরিকশা, কেউবা ইজিবাইক ও রিকশাযোগে চামড়া নিয়ে আসতে থাকে কুমিল্লা শহরের ঋষিপট্টি ও বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে কাউন্টার খুলে বসা ব্যবসায়িদের কাছে। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকার কোরবানিদাতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাঝারি ও বড় সাইজের চামড়া সংগ্রহ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে এসে এবারে গেলো কয়েক বছরের মতো হতাশ হতে দেখা যায়নি কাউকে।
ঈদুল আজহার আগে সরকার কোরবানির পশুর চামড়ার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছিল সেই দরে চামড়া ক্রয় করেনি ব্যবসায়িরা। আবার দাম না পেয়ে চামড়া ফেলে দেওয়া বা মাটিতে পুঁতে ফেলার মতো কোনো ঘটনা কুমিল্লায় ঘটেনি।
চামড়ার পাইকারি ব্যবসায়ি ও আড়তদারদের কারসাজিতে এবারে লোকসান গুণতে না হলেও খুশি হওয়ার মতো মুনাফা করতে পারেননি মৌসুমী ব্যবসায়িরা। কোনরকমে পূঁজি পকেটে তুলতে পেরেছেন বলে জানান মৌসুমি ব্যবসায়িরা।
তবে মৌসুমী ব্যবসায়িদের অভিযোগ, সরকারিভাবে চামড়ার দর নির্ধারণ হওয়ায় সেই অনুযায়ি বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া ক্রয় করে স্থানীয় আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রি করতে এসে সরকার নির্ধারিত দাম দাম পাননি তারা।পাইকারি ব্যবসায়ি ও আড়তদাররা সরকারি দরের বাইরে চামড়া কেনার ক্ষেত্রে ছিলেন অনড়। ঢাকার আড়তদারদের যোগসাজসে আঁতাত করে এখানকার পাইকারি চামড়া ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করেই চামড়ার দাম কমিয়ে এবারেও মৌসুমি ব্যবসায়িদের ঠকিয়েছে।
মৌসুমি ব্যবসায়িদের অভিযোগ নাকচ করে কুমিল্লার পাইকারি চামড়া ব্যবসায়িদের অনেকেই জানান, ঢাকার বাইরের জেলার জন্য লবনযুক্ত কাঁচা চামড়ার দর যেটা দেয়া হয়েছে ওই দর হিসেব করে আমরা চামড়া কিনেছি।
প্রসঙ্গত, এবার সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা করা হয়েছে।
গত কয়েক বছর মৌসুমি ব্যবসায়িরা পাইকারি বা আড়তের ব্যবসায়িদের কাছে গরুর চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে যেভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন, এবারে কিন্তু কুমিল্লায় তেমনটি দেখা যায়নি। সবমিলে চামড়া বেচাকেনায় কুমিল্লায় মৌসুমী ব্যবসায়িরা খুববেশি মুনাফা করতে না পারলেও গণমাধ্যমে এবারে স্বস্তি-সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম