কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রল বোমা মেরে ৮ যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল হালিমকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার পর থেকে আবদুল হালিম আত্মগোপনে ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে মিয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার আবদুল হালিম চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি চাঁন্দিশকরা মুন্সি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহি একটি নৈশকোচে পেট্রল বোমা মারার ঘটনা ঘটে। এতে ওই কোচের ৮ যাত্রী পুড়ে দগ্ধ হয়ে মারা যায় এবং আহত হয় অন্তত ২৫জন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মো. আবুল খায়ের নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক ডিজি বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় ১১৬ নম্বর আসামি করা হয় গ্রেফতার আবদুল হালিমকে।
এর আগে ২০১৫ সালে এ ঘটনায় জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় ৬ নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়।
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ও ও শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে যেসব মামলা করেছে এসব মামলার পুনঃতদন্ত সহ বিনা দোষে অভিযুক্ত আসামীদের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। তেমনি মিথ্যা ও সাজানো এজাহার দিয়ে করা এই মামলাটি থেকেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সহ দলটির কেন্দ্রীয় ৬ নেতা ও জামায়াত নেতারা খালাস পান।
Last Updated on February 7, 2025 6:49 pm by প্রতি সময়