কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ২০১৫ সালে বাসে পেট্রোলবোমা মেরে ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, পুলিশের সাবেক আইজি একেএম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও কুমিল্লার তৎকালীন পুলিশ সুপার সহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে ও আসামি করা হয়।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ৫ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাস মালিক আবুল খায়ের।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি আমলে নিতে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, এই একই ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জামায়াতের নায়েবে আমির চৌদ্দগ্রামের সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, রুহুল কবির রিজভী ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে হুকুমের আসামি করে মামলা করা হয়। সে মামলায় ১১২ জনের নাম উল্লেখসহ ১৪২ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বাস মালিক আবুল খায়েরের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহন এলাকায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আইকন পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪০৪৮) পেট্রলবোমা মারে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসে থাকা ৮ যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় পরদিন বাসের চালক, সহযোগী এবং স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে বাদী জানতে পারেন যে চৌদ্দগ্রাম আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক, পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক ও র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের মদদে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা বাদীর ওই বাসটি পুড়িয়েছেন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের মদদে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেরা এ ঘটনা সংগঠিত করে উল্টো তৎকালীন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম