এবার গ্রীষ্মের শুরুতেই সারা দেশে শুরু হয়েছে গরমের দাপট।বুধবারই প্রকৃতিতে পা রেখেছে প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম। একই দিনে শুরু হয়েছে রমজান। তীব্র গরম কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছে রোজাদারদের। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় গরমে বাইরে মানুষের আনাগোনা কম।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে জনজীবনে নাভিশ্বাস তোলা গরম কিছুটা কমতে পারে এবং একই সঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি বেড়ে গত কয়েকদিন ধরে চলমান তাপপ্রবাহ কোনো কোনো স্থান থেকে চলে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে কিছুটা মেঘ দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঢাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগ আরও জানিয়েছে, রাঙামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগের দিন রাজশাহীতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সেখানে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম