ড্রেজারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ছে ফসলী জমি। ড্রেজার মেশিনে মাটি উত্তেলনের কারণে ভেঙ্গে পড়ছে ফসলী জমিগুলো।কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের চাঁনগাছাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ওপেন সিক্রেট হয়ে উঠেছে।
ফসলী জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের চাঁনগাছা,ময়নামতি ইউনিয়নের নামতলা,বুড়িচং উপজেলার সদরসহ উপজেলার প্রায় সব কটি ইউনিয়নের কোথাও না কোথাও জমিতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।
এঅবস্থায় আশপাশের জমির অংশ বিশেষ যেমন ভেঙ্গে পড়ছে,তেমনি এসব মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক-ট্রাক্টরের কারণে অন্যান্য ফসলও নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে পরিবেশ দুষণও। বুড়িচং উপজেলার চাঁনগাছা গ্রামের ভাড়াটিয়া পাশ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর এলাকার বাসিন্দা কাউসার চাঁনগাছা গ্রামে এক ইউপি সদস্যর বাড়িতে থেকে এই ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানের ফসলী জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের কাজ করছে। এতে আশপাশের জমিগুলোর মাটি ভেঙ্গে কৃষকরা চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
সুত্র জানায়, জমিতে ড্রেজারের সাথে প্লাষ্টিকের পাইপ বসিয়ে প্রায় দু’কিলোমিটার দুরে মাটি নিয়ে যাচ্ছে। এতে আশপাশের ফসলী জমির চাষাবাদেও কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন সামান্য পরিমানের এসব জমি থেকে হাজার হাজার ঘনফুট মাটি উত্তোলনের কারণে মাটির তলদেশ খালি হয়ে এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলনের কারণে ময়নামতি এলাকার বহুস্থানেও ফসলী জমি হুমকীর মুখে পড়েছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলেও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় ওইসব ড্রেজার পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে দিন দিন ড্রেজারে মাটি উত্তোলন বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিন বলেন,‘বিষয়টি অমার নজরে নেই। আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম