ছবি: তজুমদ্দিন থানা। এখানেই নিহত শিশু শান্ত’র পরিবার হত্যার লিখিত অভিযোগ করেছেন #
মারবেল খেলায় দুইশিশুর ঝগড়ায় ঢুকে পড়ে এক শিশুর অভিভাবক।আরএই তুচ্ছ ঘটনা বড় করে ফেলেন ঝগড়ায় ঢুকে পড়া ওই অভিভাবক।একপর্যায়ে ওই অভিভাবকের আঘাতে প্রাণ হারায় অপর শিশুটি।তাকে রক্ষা করতে এসে তার বাবা- মাও আঘাতের শিকার হোন ওই বেপরোয়া অভিভাবকের।
ঘটনাটি ভোলা জেলার তজুমদ্দিনের শম্ভুপুর ইউনিয়নে শুক্রবার বিকেলে ঘটলেও আঘাতপ্রাপ্ত শিশুটিকে অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। সে শনিবার (২৯ আগস্ট) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়।
তজুমদ্দিন থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সিরু মুন্সী বাড়ীর সিরাজের বার বছর বয়সী ছেলে মোঃ শান্ত’র সাথে একই বাড়ীর শফিউল্লাহর দশ বছর বয়সী ছেলে জিহাদ শুক্রবার বিকালে মারবেল খেলছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিহাদের অভিভাবক শফিউল্লাহ দুই শিশুর ঝগড়ায় ঢুকে পড়ে এলোপাতারি পিটিয়ে কবরস্থানে দেয়ালের সাথে শিশু শান্তর মাথা ঠোঁকায়। এতে শান্ত অজ্ঞান হয়ে যায়। হৈচৈ শুনে শান্তর পঙ্গু পিতা সিরাজ, মাতা রাবিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করে শফিউল্লাহ। পরে শিশু শান্তকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালের ডাক্তার নাসরিন ফাতেমা জানান, শিশুটি বমি করছিল, অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ভোলা রেফার করা হয়েছে। ভোলা থেকে রেফার করলে শনিবার ঢাকা নেয়ার পথে ক্রিস্টাল লঞ্চে শান্ত মারা যায়।
তজুমদ্দিন থানার ওসি এসএম জিয়াউল হক জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম