হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নানা বিষয়ে মুখ খুলছেন। তারমধ্যে নিজের তিনটি বিয়ের দুইটি কন্টাক্ট ম্যারেজ (চুক্তিভিত্তিক বিয়ে) বলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
আমেনা তৈয়বা মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী। এরপর তিনি জান্নাত আরা ও জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে দুই ডিভোর্সি (তালাকপ্রাপ্ত) নারীকে কাবিন ছাড়াই কন্টাক্ট ম্যারেজ করেন। অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিতেই দুই ডিভোর্সি নারীকে বিয়ে করেছিলেন বলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
মামুনুল প্রথম বিয়ে ছাড়া বাকি দুই বিয়ের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। সাতদিনের রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক জানিয়েছেন, রিসোর্টকাণ্ডে আগে এসব বিয়ের কথা স্বীকার করলে প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বা ঝামেলা করতেন বলে ধারণা। এ জন্য তিনি বিষয়টি প্রথমে গোপন করেছিলেন। ব্যস্ততার কারণে জান্নাত আরার সঙ্গে তার ৯ মাস ধরে দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছিল না। জান্নাত তাকে সময় দেয়ার জন্য বারবার বলছিলেন। তাই জান্নাতকে নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টের নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দুই বছর ধরে জান্নাত আরার ভরণপোষণ ছাড়াও ব্যবসা করার জন্য মূলধন দিয়েছেন এবং কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করে ছিলেন তিনি।জিজ্ঞাসাবাদে এসব বলেছেন মামুনুল হক।
অন্যদিকে, জান্নাতুল ফেরদৌসীর সঙ্গে তার স্বামী সাইদুর রহমানের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি (ডিভোর্স) হয়ে যাওয়ার পর তাকেও কন্টাক্ট ম্যারেজ (চুক্তিভিত্তিক বিয়ে) করে অর্থনৈতিক দায়িত্ব নেন মামুনুল হক। ওই নারীকে চাকরির ব্যবস্থাও করে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের যৌথ অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম