প্রতীকি ছবি:

চরম আঘাত ছায়াছবির ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন ততো বড় নয়, তোমায় নিয়ে হাজার বছর বাঁচতে বড় ইচ্ছে হয়’... কুমারশানু ও মিতালী মুখার্জীর কন্ঠের এগানটির মতোই ভালোবেসে জীবন সাজাতে চেয়েছিল ঝুমা। কিন্তু ছাত্রী ঝুমার সঙ্গে টানা দশ বছরের প্রেম-ভালোবাসার এ সম্পর্ক আর ধরে রাখতে চায় না প্রেমিক শিক্ষক কাইয়ুম।গভীর প্রেমের সম্পর্ক করে শিক্ষক এখন চরম আঘাত দিতে চাইছে ছাত্রী ঝুমাকে।কিন্তু প্রেমিকা ঝুমাও নাছোড়বান্দা, প্রেমিক শিক্ষককেই বিয়ে করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে সাতদিন ধরে অবস্থান করছেন।প্রেমিক কাইয়ুম বিয়ে না করলে কীটনাশকের বোতল হাতে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন প্রেমিকা ঝুমা। প্রেমিকা ঝুমার বাড়িতে আসার খবরে প্রেমিক শিক্ষক কাইয়ুম বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরতেরটেকিয়া গ্রামে।  ঘটনাটি গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরটেকিয়া গ্রামের মো. আহাদ মিয়ার মেয়ে ঝুমা আক্তার চরতেরটেকিয়া মৌজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় একই স্কুলের হিসাবরক্ষন বিষয়ের শিক্ষক  ও একই গ্রামের নূরুজ্জামানের ছেলে এমএ কাইয়ুমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  ঝুমা বর্তমানে  পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিন বছর আগে ঝুমাকে অন্যত্র বিয়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু বিয়ের পরও কাইয়ুম ঝুমার সঙ্গে মোবাইলে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে স্বামীর সংসার ফেলে বাবার বাড়িতে চলে আসেন ঝুমা।

ঝুমার দাবি, ‘কাইয়ুমের সঙ্গে ১০ বছর ধরে সম্পর্ক। তাদের মধ্যে বহুবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। বিয়ের পরও কাইয়ুমের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। প্রেমের সম্পর্ক ও কাইয়ুমের কারণেই সব ছেড়ে তার কথামতোই তার বাড়িতে এসেছি বিয়ের জন্য। কিন্তু সে প্রতারণা করে পালিয়ে গেছে। সে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত এ বাড়িতেই থাকব। আমারতো আর কোথাও যাওয়ার নেই। প্রয়োজনে আত্মহত্যা করব।’

কাইয়ুমের মা জানান, ‘ঝুমার সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে, এটা ঠিক। কিন্তু এখন আমার ছেলে অন্য জায়গায় বিয়ে করে ফেলেছে। এ অবস্থায় মেয়েটি বাড়িতে এসে বসে থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছি।’

পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক মো. শ্যামল মিয়া জানান, মেয়েটির বাবা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। মেয়েটির নিরাপত্তার দিকটি দেখছে পুলিশ।

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।