চুরি করতে এসে গৃহকর্ত্রী চিনে ফেলায় তাকে গলাটিপে হত্যা করে চোর। হত্যার পর গৃহকর্ত্রীর স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘরের ভেতর রেখে যায় চোরের জুতা জোড়া। আর ওই জুতা জোড়ার সূত্র ধরেই পুলিশ আটক করে হত্যাকারী চোরকে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার নুরপুর গ্রামে। নিহত গৃহকর্ত্রী রাশেদা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের মৃত আলী আশাদ মিয়ার স্ত্রী। হত্যাকারি চোর নাদিম (২০) একই গ্রামের নুর আলমের পুত্র।
ঘটনার চার ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ গৃহকর্ত্রী রাশেদা বেগমের খুনি মো. নাদিম কে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজারের একটি দোকান থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে চুরি ও হত্যার ঘটনা ঘটনা স্বীকার করার পর আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) আটক মো. নাদিম কে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হক।
আটক নাদিমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাশেদা বেগমের দুই ছেলে ও চার মেয়ে। বড় ছেলে বিদেশে কর্মরত আর ছোট ছেলে দেশেই থাকেন। ঘটনার দিন বাড়িতে একাই ছিলেন রাশেদা বেগম। স্থানীয় চোর নাদিমের ধারণা নিহত রাশেদা বেগমের বাড়িতে অনেক অর্থকড়ি থাকবে। এমন ধারণা থেকে সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে নাদিম রাশেদা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে ওই নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় রাশেদা বেগম নাদিমকে চিনে ফেলায় তখন সে রাশেদা বেগমের গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নাদিম তার পায়ের জুতা জোড়া রাশেদার বেগমের ঘরেই রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্লু হিসেবে ওই জুতা জোড়ার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে। ঘটনার চার ঘন্টার মধ্যে ওই এলাকা থেকেই সন্দেহভাজন হিসেবে নাদিমকে আটক করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরি ও হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।
পরে আটক নাদিমের তথ্যমতে ইলিয়টগঞ্জ বাজারের একটি দোকান থেকে ওই নারীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নিহত রাশেদা বেগমের ছোট ছেলে সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
Last Updated on July 2, 2024 7:56 pm by প্রতি সময়