কুমিল্লার দাউদকান্দিতে চিংড়িতে বিষাক্ত জেলি মেশানোর দায়ে তিনজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দাউদকান্দি উপজেলার আমিরাবাদ বাজারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.জিয়াউর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দির এ চক্রের হাতে সাতক্ষীরা, খুলনা থেকে গভীর রাতে বড় জাতের চিংড়ির চালান চলে আসে। এসব চিংড়ির চাহিদা অনুসারে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা ইনজেকশনের মাধ্যমে চিংড়িতে এক ধরনের বিষাক্ত জেলি পুশ করে। এটা দেখতে অনেকটা সাদা সুজির মতো।
তাদের তথ্য মতে, এক কেজি চিংড়ি মাছে ২০০/২৫০ গ্রাম জেলি মেশানো হয়। এক কেজি জেলির দাম ২০০ টাকা আর এক কেজি বড় চিংড়ি মাছের দাম ১৫০০ টাকা। এই জেলি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
অভিযানকালে চিংড়িতে জেলি মেশানো অবস্থায় তিন জনকে আটক করে ছয় মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, খুলনা বাগেরহাট, মোল্লার হাট,গাংনি গ্রামের মিকরাইল উল্লাহ (২২), একই গ্রামের শহিদুল শেখ (২২) এবং দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই গ্রামের আজহারুল ইসলাম (৪০)।
দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে দাউদকান্দি সার্কেলের এএসপি ফয়েজ ইকবালসহ দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।
অভিযানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা থেকে চিংড়ি এখানে আসার পর জেলি পুশ করে বিভিন্ন বাজারে ছাড়া হয়৷ অভিযোগ স্বীকার করায় তাদের প্রত্যেককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান জানান,জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Last Updated on November 2, 2022 7:54 pm by প্রতি সময়