জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।ফাইলফটো #
ড্যান্সবারের আড়ালে নারী পাচার চক্রটি দুবাইয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে নারী নৃত্যশিল্পী নিয়ে যেতেন। তাদেরকে দুবাইয়ে কাজ দেয়ার প্রলোভনও দেয়া হতো। আবার দুবাই নেয়ার আগে একমাসের বেতনও অগ্রিম তুলে দিতো হাতে। নেয়ার পরে এদের মধ্য থেকে ২/১ জন করে রেখে আসতো চক্রটি। এরপর দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যান্সবারে তাদেরকে যৌনকর্মে বাধ্য করা হতো।গত আট বছরে এভাবে প্রলুব্ধ করে চাকরির নামে বাংলাদেশের হাজার তরুণী-কিশোরীকে দুবাইয়ে পাচার করা হয়েছে। তাদেরকে দিয়ে প্রস্টিটিউশনে জড়াতে বাধ্য করেছে আন্তর্জাতিক এই নারী পাচার চক্র।
এই চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার গ্রেফতার হলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের একটি দল রাজধানীর নিকেতনের একটি বাসা থেকে নৃত্যশিল্পী সোহাগকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার (১১সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।
এর আগে গত মাসে চক্রটির বাংলাদেশের মূলহোতা আজম খানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর এদের মধ্যে দুইজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নৃত্যশিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগের নাম উঠে আসায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই চক্রটি মূলত নৃত্যকেন্দ্রিক। কয়েকজন নৃত্য সংগঠক ও শিল্পী এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। প্রথমে দুবাইয়ে হোটেলে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০/২২ বছর বয়সী তরুণীদের প্রলুব্ধ করা হতো। বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য বেতন হিসেবে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করা হতো। শুধু তাই নয় দুবাইয়ে যাওয়া-আসা বাবদ সব ধরনের খরচও দিত দালাল চক্র। কিন্তু দুবাই যাওয়ার পরে তাদেরকে হোটেলে জিম্মি করা হতো এবং জোরপূর্বক দেহ ব্যবসাসহ ড্যান্সক্লাবে নাচতে বাধ্য করা হতো।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম