সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগের এক মাসেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাকিব হাসান বলেন,ওই অভিযোগের অগ্রগতির ফলোআপ কি পর্যায়ে আছে তা না জেনে বলতে পারবনা, জেনে জানাব।
দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চাটুলী গ্রামের সফিকুল ইসলাম জানান, ‘ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ও তার মেয়ের জামাতা মকবুল হোসেন সাহারপাড়- চুলাশ সড়কের চাটুলি সরকার বাড়ির মোড়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের পাশে থাকা ৫টি বড় গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ করেছি।’
রাজামেহার ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের তহসিলদার রুহুল আমিন জানান,‘ঘটনার সময় আমি এই ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলাম না। আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি রিপোর্ট দিয়ে গেছেন।’
পূর্বে দায়িত্বে থাকা তহসিলদার বর্তমানে মুরাদনগরে কর্মরত মহিউদ্দিন আহমেদ জানান,‘আমার তদন্তে ওই গাছগুলো আমাদের সরকারি জায়গাতে পেয়েছি। কিন্তু মালিক পক্ষ তাদের মালিকানা জায়গা দাবী করায় আমি সার্ভেয়ার চেয়ে উপজেলা ভ‚মি অফিসে আবেদন করেছিলাম।’
চাটুলী গ্রামের নজরুল ইসলাম ও মকবুল হোসেন জানান,‘বিএস নকশায় ওই স্থানটি সরকারি খাস খতিয়ানে উঠেছে ঠিকই, প্রকৃতপক্ষে জায়গা আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি। সড়ক ঘেঁষে খাল আর সড়কের পাশে আপনাদের জমার জায়গা কিভাবে ? এমন প্রশ্নে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তারা।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গিয়াস উদ্দিন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি এ দপ্তরে কিছুদিন পূর্বে যোগদান করেছি। এরই মধ্যে আবাসন প্রকল্প ও সুবিধাভূগীদের বাড়ি নির্মান সহ নানা কাজের চাপে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে সত্যতা নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। আগামী শুক্রবারের মধ্যে বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।রিপোর্টে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম