শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দাউদকান্দিতে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু নিহত দাবদাহ থেকে একটু স্বস্তি দিতে পথচারীদের শরবত ও পানি পান করালো কুমিল্লার সংগীতশিল্পী পরিবার কুবিতে তিন কার্যালয়ে তালা, চাবি শিক্ষক সমিতির দায়িত্বে বিনামূল্যে সার বীজ পেলো নাঙ্গলকোটের কৃষকরা চান্দিনায় সড়কের বেহাল দশার সঙ্গে ঝুঁকি বাড়িয়েছে ভাঙ্গা কালভার্ট সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষক বরুড়ার মানুষ পরিবর্তন চায় : চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদ লতিফ ভূইয়া কামাল কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শিক্ষক সমিতির তীব্র গরমে পথচারী ও নিম্নআয়ের মানুষের পাশে কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশ প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা দাউদকান্দিতে পুকুর থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার চান্দিনায় প্রতিবন্ধী নারী হত্যার দায়ে রংমিস্ত্রির মৃত্যুদণ্ড দাউদকান্দিতে একই পরিবারের চারজনের প্রাণ গেলো সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার কালিরবাজারে ছাত্রদলকর্মী হত্যা : সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কুমিল্লার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কে জ্বলবে ৪৬ সোলার লাইট তীব্র তাপদাহ : কুবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৩ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুমিল্লা সদরে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে টুটুল পাবেল বকুল সিএনজি অটোরিকশা চালক হত্যার দায়ে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায় : কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল

সাদিক মামুন
  • আপডেট টাইম শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৪০ দেখা হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে যশোরে সমাবেশ করেছেন। সেখানে তিনি জনগণের কাছে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু জনগণ আর এই লুটেরা চোর সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণ এখন জেগে ওঠেছে। তারা আর এই অবৈধ লুটেরা সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণ এখন আব্বাস উদ্দিনের গাওয়া সেই গানের সুরে বলে-‘আগে জানলে তোর ভাঙ্গা নৌকায় উঠতাম না’। তাই আমি বলবো সময় থাকতে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। মানে মানে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান। তা না হলে কিভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় দিতে হয় তা জনগণ জানে। অতীতে এধরণের অনেক নজীর রয়েছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) কুমিল্লার টাউনহল মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন ‘ফয়সালার কোন পথ, রাজপথ রাজপথ’। তাই রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের ভোটের অধিকার আদায় করতে হবে। আমাদের দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই অধিকার আদায়ে আন্দোলনে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

কুমিল্লা নামে বিভাগের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা কী কুমিল্লা নামে বিভাগ চান, নাকি মেঘনা বা গোমতী নামে বিভাগ চান। এ সরকার কুমিল্লার নাম বাদ দিয়ে অন্য নামে বিভাগ করতে চাচ্ছে। তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কুমিল্লার মানুষের প্রাণের দাবী অনুযায়ি কুমিল্লা নামে বিভাগ করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বাতিল করে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। আমাদের এই দাবি আদায় করতে হলে একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরেকটি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম তার ২৫ মিনিটের বক্তব্যে বলেন, এই সরকার লুটেরা সরকার। লুটপাট করে দেশকে ফুকলা করে দিয়েছে। রিজার্ভ এখন খালি হয়ে যাচ্ছে। আগামী তিন মাস আমদানি ব্যয় পরিশোধের টাকা নেই। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। গত ১০ বছরে ৮৬ লক্ষ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। কুইক রেন্টালের নামে লুটপাট হয়েছে ৭৮ হাজার কোটি টাকা। অথচ এখন দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে দেশের মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ। চাল, ডাল, তেল, লবনসহ এমন কোন জিনিস নেই যার দাম বাড়েনি।কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষের আয় তো বাড়েনি। তবে আয় বেড়েছে আওয়ামী লীগের নেতাদের। তারা ফুলেপেপে ওঠেছে। যার একতলা ছিল, সে দশতলা বাড়ির মালিক হয়েছে। যার একটি গাড়ী ছিল সে এখন কয়েকটি গাড়ীর মালিক। অথচ সাধারণ মানুষ আজ তার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছে না। সন্তানের পাতে সপ্তাহে একদিনও একটি ডিম দিতে পারছে না। মানুষের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এ অবস্থার পরিবর্তন চায় মানুষ। এই অবৈধ লুটেরা সরকারের হাত থেকে দেশের মানুষ আজ মুক্তি চায়। তাইতো মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার দেশকে চরম বিপর্যয়ের পথে নিয়ে গেছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশকে মেরামতের চেষ্টা করবো। যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আমাদের সহযোদ্ধা হিসেবে থাকবেন তাদের সবাইকে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করবো। এরপর বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে আমরা পরিবর্তন করবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের বিচার বিভাগকে এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ আমরা ন্যায় বিচার পাই না। মিথ্যা মামলায় ফরমায়ি আদেশে আমাদের নেতাদের সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায় এই সরকার। সেই লক্ষ্যে এই সরকার আবারও সেই পুরানো কৌশল অবলম্বন করেছে। সারা দেশে আবারও গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। গত ১১ দিনে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীদের নামে ১০৪টি গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকাতেও রিপোর্ট এসেছে, যেখানে শতশত ককটেল বিস্ফোরণের কথা বলা হয়েছে অথচ সেখানের মানুষ এর কোন আওয়াজই শুনতে পায়নি। এরকম ডাহা মিথ্যা গায়েবি মামলা দেয়া শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার মহাসমাবেশ যাতে সফল করতে না পারি এজন্য সরকার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। তারা পরিবহন ধর্মঘট ডেকে নানাভাবে হয়রানি করে ইতিপূর্বে আমাদের সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসার স্রোতকে থামাতে পারেনি। তাই এবার গায়েবি মামলা দিয়ে, ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে, আগুন সন্ত্রাসের উস্কানি দিয়ে ঢাকার মহাসেমাবেশকে বানচাল করতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ আপনাদের এইসব হামলা মামলা ও হুমকি-ধমকিতে আর ভয় পায় না। জনগণ জেগে ওঠেছে। তাদেরকে আর দমানো যাবে না।

মহাসচিব বলেন, এই সরকার নিশি রাতের ভোট ডাকাতের অবৈধ সরকার। তারা আবারও নানা ছলে কৌশলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই আপনাদের নীলনকশার নির্বাচন এদেশে আর হতে দেওয়া হবে না। ২০১৪ সালে মানুষ ভোট দিতে পারে নাই, ২০১৮সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এবার আপনারা ইভিএম নামক যন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের ভোটকে চুরি করতে চাচ্ছেন। কিন্তু ইভিএমে কোন ভোট এদেশে হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার জনবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকার। অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের নয়নের কি অপরাধ ছিল? সমাবেশের প্রচারপত্র বিলি করতে গেলে তাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। নয়নের বাবা এখানে বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু নয়নের বাবার চোখে আমি কোন অশ্রæ দেখিনি, দেখেছি প্রতিশোধের আগুন, প্রতিরোধের আগুন। এই আগুন শুধু নয়নের বাবার চোখে নয়, এদেশের আপামর মানুষের চোখের আগুন। নয়নের বাবার মতোই গুম হয়ে যাওয়া দুই পিতার সন্তানেরাও এখানে বক্তব্য দিয়েছে। তারাও তাদের বাবাকে ফিরে পেতে চায়। তাদের এই আকুতি শেখ হাসিনার কর্ণে পৌঁছায় না। তবে জনগণ তাদের কথায় অবশ্যই রাজপথে নেমে আসছে। আর এই রাজপথের আন্দোলনে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

 

বিএনপি মহাসচিব দু:খ করে বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটি সুখি সমৃদ্ধ সুন্দর বাংলাদেশের জন্য। যেখানে মানুষ তার অধিকার পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারবে। কিন্তু হায়, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমাদেরকে ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে, জীবন দিতে হচ্ছে। তবে অতীতে যেমন কোন আন্দোলন বৃথা যায়নি এবারও আমাদের এই আন্দোলন ব্যর্থ হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের দাবি আদায় করবো ইনশাল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার গায়ের জোরের সরকার। বিনা ভোটের, রাতের ভোটের অবৈধ সরকার। এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্যদিয়ে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, আর এখন তত্ত¡াবধায়ক সরকার বাতিল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। লুটপাট করে দেশেকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। জনগণ আর এই সরকারকে চায় না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, হামলা মামলা দিয়ে আমাদের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। সিন্দাবাদের ভূতের মতো আমাদের ঘাড়ে চেপে বসা এই সরকারকে বিদায় না করে ঘরে ফিরে যাবো না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই বিশাল সমাবেশ সরকারের হৃদকম্পন বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার তাই আবোল তাবোল বকছে। হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করছে। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। জনগণ সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে আসছে।জনগণের এই আন্দোলনে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, এই সরকারের পত ঘন্টা বেজে গেছে। সমাবেশে যে জন¯্রােতের সৃষ্টি হচ্ছে তাতে সরকারের পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ থেকে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে। সেই আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, গত ১৪ বছর আমরা বিভৎস সময় পার করছি। গুম খুন লুটপাটে দেশ আজ চরম সংকটের মধ্যে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আমাদের সবাইকে রাজপথের আন্দোলনে থাকতে হবে।

কুমিল্লা জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সাহিদা রফিক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান মুন্সি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, যুবদলের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষকদলের নেতা হাসান জাকির তুহিন, ড্যাবের নেতা ডা. হারুন আল রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম, কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন শিশির, অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন জিয়া, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, তদকির হোসেন জসিম, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলার সদস্যসচিব হাজী জসিম উদ্দিন। সমাবেশ পরিচালনা করেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারি আবু ও সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু।

Last Updated on November 26, 2022 8:51 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102