এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.এ মাদরাসার ৮৮তম সালানা জলসায় বক্তারা বলেছেন, দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে জ্ঞান অন্বেষণের কোন বিকল্প নেই। দ্বীনের জ্ঞান হলো নবীগণের রেখে যাওয়া খোদায়ী উপহার সদৃশ। প্রিয় রাসূল (দ.) হাদিসে পাকে বলেছেন, ‘আলিমগণ নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীগণ দিনার ও দিরহাম রেখে যাননি বরং তাঁরা উত্তরাধিকার হিসেবে ইলম রেখে গেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তা অর্জন করলো সে বড় সৌভাগ্য অর্জন করলো’ (সুনানে আবু দাউদ)।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল তিনটা থেকে শুরু হওয়া বায়েজিদ মহানগর ক্যাম্পাস সম্মুখস্থ ময়দানে অনুষ্ঠিত সালানা জলসায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সালানা জলসায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মহাসচিব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালানা জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর রশীদ, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ার্যম্যান প্রফেসর এ,কে,এম ছায়েফ উল্যা, মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ কানাডা শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ কায়কোবাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুছলেহ উদ্দীন আহমদ মাদানী, রাঙ্গুনিয়া আলমশাহপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ সরওয়ার কামাল, মোঃ দেলওয়ার হোসেন খাঁন প্রমুখ। জলসায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান।
সালানা জলসায় বক্তারা আরো বলেন, দ্বীনের জ্ঞান অর্জন ও বিতরণ করার ইতিহাসে খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) কালশ্রেষ্ঠ কিংবদন্তির ভূমিকা পালন করেছেন। শরীয়তের জ্ঞান এর পাশাপাশি তরিক্বতের জ্ঞান নিজে যেমন আহরণ করে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন তেমনি অনুসারীদেরকেও অনুপ্রাণিত করেছেন। এমন অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত করায় স্মরণকালের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
বক্তারা বলেন, কাগতিয়ার নিভৃত পল্লিতে গড়ে উঠা মাদরাসা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। যা খলিফায়ে রাসূল (দ.) এর ত্যাগ, কুরবানি ও অক্লান্ত মেহনতের ফলশ্রুতিতে সম্ভব হয়েছে, মাশাআল্লাহ। প্রতি বছর এ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। সুবিশাল ক্যাম্পাস, সুনিবিড় পরিবেশ, সুদৃঢ় ব্যবস্থাপনা, দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন, অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, সুদক্ষ শিক্ষক প্যানেল, সাথে রয়েছে খলিফায়ে রাসূল (দ.) এঁর দোয়া; এ সকল কিছুই এই মাদরাসাকে করেছে অন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনন্য। মাদরাসার বর্তমান অধ্যক্ষ মোর্শেদে আজম মাদ্দাাজিল্লুহুল আলী ছাহেবের সুদক্ষ পরিচালনায় এ মাদরাসা দিনদিন উন্নতির স্বর্ণশিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। দ্বীনি ইলম চর্চার শ্রেষ্ঠ নিকেতন কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদরাসা বহির্বিশ্বেও পরিচিতি লাভ করেছে।
বক্তব্য শেষে মিলাদ-কিয়াম ও বিশেষ মোনাজাতে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করা হয়।
Last Updated on January 27, 2024 11:25 pm by প্রতি সময়