কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মেজর অব. মোহাম্মদ আলী সুমন।মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) অনুষ্ঠেয় দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেজর অব. মোহাম্মদ আলী সুমন ভোটের বড় ব্যবধানে নৌকা প্রতীকে সহজ জয় পেলেন।আর ভোটের হাওয়ায় প্রচারণা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ছিল বিএনপি প্রার্থীর দুর্বল পারফরমেন্স।

সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূইয়া ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী  মোহাম্মদ আলী সুমন একই কেন্দ্রে নিজেদের ভোট দেন #

মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় উপজেলা কার্যালয়ে ১০২ কেন্দ্রের মধ্যে ১০০ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেজর অব. মোহাম্মদ আলী সুমন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫২ হাজার ২৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাইফুল আলম ভূঁইয়া ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ২৩০ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তালা প্রতীকের মো. তারিকুল ইসলাম নয়ন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপ্রতি প্রতীকের রোজিনা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত মো. তারিকুল ইসলাম নয়ন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত রোজিনা আক্তার #

দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে ভোটের মাঠে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। উপজেলা পর্যায়ে দলটির সাংগঠনিকদুর্বলতা, নেতাকর্মীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার টানতে পারেনি উপজেলা বিএনপি। আবার ভোটকেন্দ্রে দলীয় ভোটারের ব্যাপক অনুপস্থিতি দেখা গেছে। ফলে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে ধানের শীষের প্রার্থী সাইফুল আলম ভূঁইয়াকে। তবে তিনি ভোটগ্রহণ চলাকালে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আহবান করে অভিযোগে বলেন, ধানের শীষের এজেন্টদের হুমকি-ধমকি দিয়ে কোন কোন ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।আবার কোথাও এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোট গ্রহণে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল আলম ভূঁইয়া নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শাস্তিপূর্ণভাবে মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোটামুটি ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এরপর থেকে ভোটারের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি কেন্দ্রগুলোতে। দুপুরের পর থেকে শেষ সময় পর্যন্ত আস্তেধীরেই চলতে থাকে ভোটগ্রহণের পালা। তবে ব্যালট ছিনতাই বা একই ব্যক্তি জোর করে ব্যালট বইয়ে পর্যায়ক্রমে ভোট দেয়ার কোন দৃশ্যই চোখে পড়েনি। বাইরে আইন শৃংখলা বাহিনী ছিল বেশ তৎপর।

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।  এছাড়া protisomoy news ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।