কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরীর পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে আশিকুর রহমান অপি নামের এক কাজীর বিরুদ্ধে।
নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউপির তুলাতলি চাঁন্দুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরী তুলাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রায়কোট দক্ষিণ ইউপির তুলাতলী চাঁন্দুর গ্রামের কিশোরীর পার্শ্ববর্তী শ্রীরামপুর গ্রামের রিয়াজের (২৭) সাথে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হক নাঙ্গলকোট থানার এসআই নিশাত বড়ুয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
এসআই নিশাত বাল্যবিয়ে বন্ধ রাখতে ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের নিষেধ করেন। এরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও সাবেক মেম্বার জিয়াউল হক বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেন।
সবাই চলে যাওয়ার পর গোপনে ওই কিশোরীর পারিবারের লোকজন বিয়ে পড়ানে কাজী আশিকুর রহমান অপির সঙ্গে যোগাযোগ করে বর ও কনেকে ঝাটিয়াপাড়া বাজার অফিসে নিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। পরে তারা বাড়ীতে গিয়ে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে কিশোরীকে বিদায় দেন।
ওই কিশোরীর জেঠা আব্দুল মালেক মেয়ের বয়স কম বলে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝাটিয়াপাড়া বাজার কাজীর অফিসে বিয়ে হয়েছে। আমার জানামতে সে নবম শ্রেণীতে পড়ে।
সাবেক মেম্বার জিয়াউল হক বলেন, আমি গিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দিয়েছি। পরে তারা বিয়ের কাজ কেন সম্পন্ন করেছেন তা জানি না।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানার সাথে সাথে সাবেক মেম্বারকে দিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেই।
এদিকে নিকাহ রেজিস্ট্রার আশিকুর রহমান অপি অস্বীকার করে বলেন, আজকে আমি কোন বিবাহ পড়াইনি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আশরাফুল হক বলেন, পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।পরে বিয়েটি হয়েছে বলে শুনেছি। খবর নিয়ে কাজীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Last Updated on September 15, 2023 9:07 pm by প্রতি সময়