নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার পরিবেশ মানুষের কান্না আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে। নিহতের পরিবারকে সান্তনা দিতে দিতে প্রতিবেশি স্বজনরাও নিজের বুকচাপা কান্না ধরে রাখতে পারছেন না। নারায়ণগঞ্জের এই মসজিদ ট্র্যাজেডি ঘিরে বাড়ছে লাশের সারি, বাড়ছে বুকফাটা কান্নার রোল।
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ জনে। এ নিয়ে মোট ২২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলো। এছাড়া আরও একজনের মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লাশের সারিতে মুসল্লিদের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক ছাড়াও শিশু কিশোর রয়েছে। এছাড়াও বিষ্ফোরণে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ নাদিম নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর। এরপর ধীরে ধীরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২৩জনে দাঁড়াল।
এদিকে প্রাথমিকভাবে এসি থেকে বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলা হলেও- এসি নয়, গ্যাসলাইন থেকে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান তিনি। এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম