# আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে র‌্যালি।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক আন্দোলন বেগবান করার আহবান জানিয়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন করেছে ইনার হুইল ক্লাব অব কুমিল্লা।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দিবসটি উপলক্ষে কুমিল্লা নগরীতে র‌্যালি বের করে ইনার হুইল ক্লাব অব কুমিল্লা।  এসময় দিবসটির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষসহ সংগঠনের মেডিকেল উইংয়ের সদস্যবৃন্দ।

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশে ১৬ দিনব্যাপী এই পক্ষ পালনে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লায় ইনার হুইল ক্লাব এ আয়োজন করে।

# বক্তব্য দিচ্ছেন ইনার হুইল ক্লাব অব কুমিল্লার চার্টার প্রেসিডেন্ট ডা. মল্লিকা বিশ্বাস। 

র‌্যালি শুরুর আগে ইনার হুইল ক্লাব অব কুমিল্লার চার্টার প্রেসিডেন্ট ডা. মল্লিকা বিশ্বাস বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশে পর্নোগ্রাফি-মাদক এবং বেপরোয়া নির্যাতনের শিকার হয়ে নারীর নিরাপত্তা এখন অনিশ্চিত। নারী সমাজ এক কঠিন সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এমন অবস্থায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সচেতনতা জরুরি হয়ে পড়েছে।  কারণ নারীরা এ সমাজের আলাদা কোন অংশ নয়। নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য প্রতিরোধে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সচেতনতাই সমাজে আমূল পরিবর্তন করতে পারে।

# সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেছেন অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ। 

এদিকে ইনার হুইল ক্লাবের কর্মসূচি ও দিবসটির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ বলেন- নারী ও কন্যাশিশুর উপর নির্যাতন, সহিংসতার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন এটা শুধু নারীর অংশগ্রহণ নয়, এ আন্দোলন পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের সকলের।নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনে সচেতন সকলের সম্মিলত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে র‌্যালিটি নগরীর বাদুরতলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’র প্রথমদিনের কর্মসূচি পালন করে ইনার হুইল ক্লাব অব কুমিল্লা।কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফাতেমা তুজ জোহরা,সাধারণ সম্পাদক নেহা ঘোষসহ সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদযাপন কমিটি ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস ও পক্ষ পালন করছে।

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।  এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।