ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসার অংশে রয়েছে দেশের অন্যতম সবজি বাজার। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে প্রতিদিন ট্রাক,কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে সবজি নিয়ে আসে পাইকাররা।আবার আশপাশের উপজেলায় উৎপাদিত সবজি কৃষকরাই নিয়ে আসেন। আর দূরদূরান্তের সবজিবাহী পরিহনগুলো মধ্যরাতেই নিমসারে পৌঁছে।সবমিলে নিমসারে সবজি বিক্রির এলাহী কান্ড প্রতিদিন ভোররাত থেকে শুরু হয়ে চলে বেলা প্রায় ১১টা পর্যন্ত।
বৃহত্তম এই সবজি বাজারে ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট ডাষ্টবিন বা স্থান নির্ধারণ না থাকায় প্রতিদিনই বাজারের সবজির উচ্ছিষ্ট অংশ মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। এগুলো পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে পথচারীসহ বাজারে আসা ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মহাসড়কের উপর দাঁড় করিয়ে অনেক ট্রাক,কাভার্ডভ্যান গাড়িতে রেখেই সবজি বিক্রি করায় নিমসার বাজারের ফোরলেনের উভয় অংশে থেমে থেমে যানজট সুষ্টি হয়। আবার রোড ডিভাইডারে অনেকে সবজি বিক্রি করায় দুর্ঘটনার আশংকাও থেকে যায়। বিশেষ করে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সবজির উচ্ছিষ্ট, পচা সবজি মহাসড়কের পাশে ফেলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে নিমসারের অংশ।মহাসড়কের পাশে জমছে আবর্জনার স্তুপ।দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। মহাসড়কের পাশে সবজির ময়লা আবর্জনা ফেলায় পথচারিরা বাধ্য হয়েই সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করায় প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানান, এতদিন বাজারটি সরকার এককভাবে ইজারা দিলেও সম্প্রতি সরকারী নির্দিষ্ট বাজারের স্থানের বাইরেও দু’টি গ্রুপ ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থানে পৃথক দুটি বাজার পরিচালনা করছে। এতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বাজারের আবস্থান। আর এজন্য সড়কের পাশেএকাধিকস্থানে আবর্জনার স্তুপ জমছে।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘বাজারের ইজারাদারকে চিঠি দিয়েছি,এছাড়াও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মামলা দায়েরের সুপারিশ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম