# সুস্থ থাকার সহজ উপায় হিসেবে প্রতিদিন বেশি করে হাসুন। হাসিখুশি থাকলে শরীর, মন ভালো থাকে।
# প্রতিদিন খাবারের তালিকায় বিভিন্ন রকম ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন। শিম, মটরশুটি, বরবটির মতো আঁশযুক্ত সবজি শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রনে যেমন সাহায্য করে তেমনি হৃদরোগ প্রতিরোধেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। বাধাঁকপি, ফুলকপি সবজি সমূহ ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে যারা ফলমুল এবং শাক-সবজি বেশি বেশি খায় তাদের হাঁপানিসহ বিভিন্ন অ্যালার্জিজনিত রোগের ঝুঁকি কম থাকে।
# মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন শর্করা এবং গ্লুকোজ। আর এগুলো থাকে বিভিন্ন ফল, মিষ্টিআলু, শষ্যদানা প্রভৃতিতে। ভুট্টা-গম এসব শষ্যদানায় পেতে পারেন আয়রণ, থিয়েমিন, নিয়াসিন, ভিটামিন-বি এবং আরো অনেক উপকারী উপাদান যা আপনার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া গমের রুটি শরীরের ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।
# চিনাবাদাম, কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদামসহ প্রভৃতিবাদামে প্রচুর পরিমানে আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিডসহ প্রচুর উপকারী উপাদান রয়েছে। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
# একজন পরিণত বয়সের মানুষের রাতে গড়ে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। তাই, দেহ ও মনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
# রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। খাওয়ার কম পক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
# আপনার শরীরের আকার অনুযায়ী ব্যয়াম করুন। যাদের মেদ বা ভুড়ি জমেছে তারা নিয়মিত ও সঠিক ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা ও অন্যান্য ব্যয়াম এর পাশাপাশি সম্ভব হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যয়াম করুন।
# ফলের রস খান। শরীরের সৌন্দর্য বজায় থাকবে। আর অতিমাত্রায় চা ও কফির অভ্যাস ত্যাগ করুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম