শিল্প-সাহিত্য মানুষকে চিন্তাশীলতার ভেতর দিয়ে নতুন চেতনার পথ দেখায়।অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘প্রতিসময়’ এর শিক্ষা-সাহিত্য বিভাগে আপনিও যুক্ত হতে পারেন সৃজনশীল লেখা নিয়ে। সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবারের আয়োজনে আজকে শিক্ষা-সাহিত্য বিভাগে কবিতা নিয়ে যুক্ত হয়েছেন মতিন সৈকত।বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের এই মানুষটি কুমিল্লার দাউদকান্দির কৃতি সন্তান।নিজের কর্মযজ্ঞে এখন তিনি কুমিল্লা ছাপিয়ে সারাদেশের মানুষের কাছে পরিবেশ ও পাখিপ্রেমিক মতিন সৈকত।কৃষি পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নে অগ্রগণ্য ভূমিকায় রাখায় পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। কুমিল্লায় প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষে এখন বিপ্লব সৃষ্টি করে যাচ্ছেন মতিন সৈকত। নব্বই দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবি ছাত্র মতিন সৈকত বাংলা সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রী করেও গ্রামের কাদামাটিকে আপন করে নিয়ে কৃষি ও পরিবেশ উন্নযনে নিজেকে করেছেন মনোনিবেশ। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে জড়িত। কবিতা, গল্প, উপন্যাসও লিখেন তিনি। প্রকৃতি, পরিবেশ, চাষাবাদ এসব ব্যস্ততার মাঝে লেখালেখির নেশাতে এখনও কলম ধরেন।‘প্রতিসময়’ পাঠকের জন্য মতিন সৈকত তার কবিতায় এমন প্রত্যাশিত পরিবেশের কথা তুলে ধরেছেন যেথানে সকল অস্বস্তি জয় করে আপনজন প্রিয়জনের মুখ জুড়ে থাকবে স্বস্তির প্রতিচ্ছবি।

প্রিয়জনের মুখের হাসি

-মতিন সৈকত-

দুদন্ড শান্তির খুঁজে দিশেহারা

কার কাছে পাবে আশ্রয় ভালোবাসা

কে ক্লান্তি মুছে হাসিমুখে বরণ করবে?

নিশ্চিন্তে কার কাছে খুলে বলা যায়

অব্যক্ত বেদনা?

এত মানুষের ভীরে নিজের মানুষ কই?

সারি সারি ফার্মেসিতে ঔষধের গোডাউন

প্রেসক্রিপসন হাতে রোগীর মিছিল।

বাজারের ফর্দে ঔষধের অত্যাচারে অতিষ্ঠ

যত লোক বাজারে যায় তার

অর্ধেকের বেশি

যায় ডাক্তারের চেম্বারে।

তরিতরকারি মত ঔষধ কিনে

বাজারের ব্যাগ ভর্তি করে

তারপরও সুখ কই?

একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চায়

ভালোবাসার মানুষ কাছে পেতে চায়,

এত ঔষধে কি হবে?

সংসারে যদি স্বস্তি না থাকে?

কষ্টসহিষ্ণু প্রিয়জনের মুখে

যদি হাসি না থাকে?

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।