মনোয়ারা বেগমের মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের সবকিছু পাল্টে গেছে।ছেলের চাকরি ছিল তাও নেই এখন।মাথা গোঁজার জন্য একটা ঘর ছিল। অভাবের তাড়নায় ভূমিসমেত ঘরটাও বিকি করে দিতে হয়েছে।প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে বড় মেয়ের স্বামীর বাড়িতে থাকেন।নিহত স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রতিবন্ধি মেয়ের ভাতা দিয়েই সংসার চলছে কোনরকমে।কিন্তু মাথা গোঁজার জন্য নিজের একটা ঘর নেই।স্বামীর রেখে যাওয়া তিনশতক খালি ভূমি রয়েছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এখানেই একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার আকুতি জানালেন ওই অসহায় নারী।যেখানে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে জীবনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দিতে পারবেন।
এমন আকুতির কথাই শোনালেন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ দক্ষিণ পাড়া গ্রামের হায়দার আলী সরকার বাড়ির মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহেরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
‘প্রতিসময়’কে বয়োবৃদ্ধ মনোয়ারা বেগম জানান, ১২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর জিয়ের দিনেই তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহের মৃত্যবরণ করেন।স্বামীর মৃত্যুতে তার সংসারের সবকিছুই যেন পাল্টে যায়।মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে আর কতোদিন থাকবো স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মেয়ের প্রতিবন্ধী ভাতা পান।স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতার একটা বড় অংশ ব্যাংক লোন বাবদ কেটে নিয়ে যায়।প্রতি তিন মাস পরপর ১৩ হাজার টাকা পাই আমি। ’
মনোয়ারা বেগম আরো জানান, ‘সরকার আমাকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিচ্ছে, মেয়েকে দিচ্ছে প্রতিবন্ধী ভাতা, তারপর আমার আর কোন চাওয়া-পাওয়া থাকার কথা নয়।কিন্তু আমি অসহায়।আমার অনুরোধ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের যে বাড়ি দিয়েছে আমাকে যেন আমার স্বামীর তিন শতক খালি জায়গায় একটি বাড়ি করে দেয়।জীবনের শেষ নিংশ্বাসটা যেন স্বামীর ভিটিতে সরকারের করে দেয়া ঘরে ত্যাগ করতে পারি।আর প্রতিবন্ধী মেয়েটা যেন নিজে ঘরে থেকে সম্মানের সাথে বাঁচতে পারে।এটুকু চাওয়া পূরণ করার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিনয় আবেদন করছি।’
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম