পরিবারের সবচেয়ে ছোট শিশু চার বছর বয়সী ফুটফুটে বায়েজিদ সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখতো পুরো ঘর।সবার আদর-স্নেহে সেও ছিল ঘরের চোখের মনি।সবার আগে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শিশু বায়েজিদের চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।প্রতিবেশি-স্বজনরা বায়েজিদের মা-বাবা, ভাই-বোনকে সান্তনা দিতে এসেও তারা নিজেদের চোখের পানি সংবরণ করতে পারেনি।পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু সন্তানের নিথর নিস্তব্ধ দেহকে জড়িয়ে বায়োজিদের বাবা আসমত আলীর কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
#নিহত শিশুসন্তানের নিথর দেহ জড়িয়ে পিতার আহাজারি।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশু বায়েজিদের নিত দেহ তুলে এমন আহাজারির দৃশ্য দেখা যায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল গ্রামের পূর্ব পাড়ার মোল্লা বাড়িতে।
শিশুটির পরিবার জানায়, রবিবার সকাল ১০টার দিকে খেলা করার জন্য বাইরে যায়। অনেকক্ষন বায়েজিদকে ঘরে দেখতে না পেয়ে তার মা রেহানা আক্তার ও ঘরের অন্যরা মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু কোথাও না পেয়ে খবর দেয়া হয় বায়েজিদের বাবা আসমত আলীকে।
সবাই মিলে খোঁজাখঁজির একপর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে বাড়ির উত্তর পাশের পুকুরের পানিতে শিশু বায়েজিদের দেহ ভাসতে দেখে পানি থেকে তাকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানকার চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু জানালেন শিশুটি আর বেঁচে নেই। এখবরে গোটা এলাকাসহ পরিবারটিতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
আসমত আলীর দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বায়েজিদ ছিল সবার ছোট। শিশু বায়েজিদের এমন মৃত্যুতে তার মা-বাবা এমনকি স্বজনরাও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম