কুমিল্লার গোমতি, ডাকাতিয়া, ঘুংঘুরসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ডুবে যাওয়া বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কোথাও ঘরের দরজার দেখা মিলছে, আবার কোথাও হাঁটু পানির উঠোন। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিতদের কেউ কেউ ঘরে ফিরলেও বসবাসের পরিবেশ ফিরে পাচ্ছেন না। বন্যার পানিতে কাপড়চোপড়, হাড়ি-পাতিল আসবাবপত্র সবই খুইয়েছেন। কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন, নতুন করে এমন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ঘরমুখী বন্যাকবলিদের অনেকেই।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বন্যা কবলিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যসংকট ও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তারা জানান, এমন সংকটময় মুহূর্তে যেখানে খাবার জোগাড় অসম্ভব হয়ে পড়েছে সেখানে বাড়িঘর ঠিক করার বিষয়টি তো আরো কঠিন।
আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বজনদের বাড়িতে থাকা বন্যা দুর্গত মানুষগুলোর মধ্যে যাদের ঘরবাড়ি দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে তারা প্রায় দশ দিন পর প্রিয় আবাসস্থলে গিয়ে খুঁজে ফিরছেন যা ফেলে রেখে জীবন বাঁচাতে এক কাপড়ে বের হয়েছিলেন ঘর থেকে। কিন্তু কিছুই নেই।
কুমিল্লা বুড়িচংয়ের বুরবুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, বাড়িঘরের পানি কমলেও ঘরের ভিতরে তো কিছুই নাই। আমার ঘরে তো সবই ছিল।
বুড়িচং উপজেলার ইছাপুরা, কালিকাপুর ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগরের বন্যাকবলিতরা জানান, বানের পানির স্রোতে ঘরের সবকিছু চলে গেছে। এখন পানি কমেছে, ঘর দেখা যাচ্ছে, কিন্তু ঘরে কিছু নেই। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি, খেয়েছি ঘুমিয়েছি। এখন নিজের ঘরে এসে কি খাবো, কোথায় ঘুমাবো? এখন তো আরো বেশি কষ্ট শুরু হবে।
এদিকে গোমতী নদীর বুরবুড়িয়ায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখনো পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। তবে প্রবাহের মাত্রা অনেকটা কমে আসছে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম