বিজিডিসিএল রাজস্ব শাখার কর্মচারি হাতেম আলীর বাড়ি #
বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) রাজস্ব শাখার কর্মচারি হাতেম আলী। বাখরাবাদে চাকরি করার সুবাদে আলিশান বহুতল ভবনের মালিক বনেছেন হাতেম আলী। যদিও বাড়িটি নির্মানে আর্থিক সহায়তা নিয়েছেন কুমিল্লার চাপাপুর উত্তরা ব্যাংক বাখরাবাদ শাখা থেকে।কয়েক বছর আগ থেকেই হাতেম আলীর চার ইউনিটের পাঁচতলা বাড়িটির ১৮ ফ্ল্যাটে চলছিল দ্বৈত ১৮ চুলোয় অবৈধ গ্যাস সংযোগ। ৮ দিন আগে বাখরাবাদের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ভ্রাম্যমান টিম হাতেম আলীর বাড়ির বৈধ দুইটিসহ অবৈধ ১৮টি দ্বৈত চুলোর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ।
কুমিল্লা নগরীর ইপিজেডের প্রধান গেইট সড়কের উত্তরে দক্ষিণ চর্থা এলাকায় মনু মিয়া চেয়ারম্যান সড়কের শেষপ্রান্তে মোল্লা হাউজ নামের পাঁচতলা বাড়িটি বাখরাবাদ গ্যাসের রাজস্ব শাখার কর্মচারি হাতেম আলীর। প্রথম অবস্থায় হাতেম আলী তার মালিকানাধীন বাড়ির জন্য দ্বৈত চুলোর দুইটি গ্যাস সংযোগ নেয়। পরে চার ইউনিটের পাঁচতলা ভবন নির্মানের পর হাতেম আলী ভবনের ১৮টি ফ্ল্যাটে অবৈধভাবে আরও ১৮টি দ্বৈত চুলোর সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে ফ্ল্যাট ভাড়ার সাথে গুনে নিতেন অবৈধ ১৮টি দ্বৈত চুলোর গ্যাস বিলের টাকা। কিন্তু প্রতিমাসে গ্যাস বিল পরিশোধ করতেন বৈধ দুইটি দ্বৈত চুলোর।
এভাবে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ১৮ চুলোর গ্যাস চুরির লাখ লাখ টাকা হজম করতেন বাখরাবাদ গ্যাসের রাজস্ব শাখার কর্মচারি হাতেম আলী। ‘চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন’- গত ৪ অক্টোবর এমন প্রবাদের মুখে পড়লেন হাতেম আলী। ওইদিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাখরাবাদের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী ভ্রাম্যমান একটি দল প্রকৌশলী বাপ্পী শাহরিয়ার, বিক্রয় শাখার মোবারক হোসেন ও হিসাব শাখার শাফায়াত হোসেনের নেতৃত্বে দক্ষিণ চর্থা এলাকায় হাতেম আলীর মালিকানাধীন মোল্লা হাউজে অভিযান চালায়। এসময় বৈধ দ্বৈত দুইটি চুলোর অতিরিক্ত আরো ১৮ টি অবৈধ দ্বৈত চুলার অস্তিত্ব আবিস্কার করে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী ভ্রাম্যমান দল। পরে অবৈধসহ পুরো বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। একই সাথে বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের রাজস্ব শাখার কর্মচারি হাতেম আলীর এঘটনা বাখরাবাদ গ্যাসের উর্ধ্বতন কর্মমর্তাদের অবহিত করা হয়।
এঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও হাতেম আলীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কুমিল্লার চাপাপুরে বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের কর্মচারিরদের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অবৈধ সংযোগ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া হিসাব শাখার শাফায়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা মোল্লা হাউজ নামের বাড়িটিতে ১৮টি চুলোয় অবৈধ সংযোগ পেয়েছি। বাড়িটিতে দ্বৈত চুলোর ২০টি সংযোগই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একদিকে বাড়িটির মালিক বাখরাবাদ গ্যাসের হিসাব শাখার কর্মচারি হাতেম আলী। আর অবৈধ সংযোগের কাজটি তিনিই করেছেন। অন্যদিকে হাতেম আলী বাখরাবাদের কর্মচারী তাই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই গ্রহণ করবেন।’
#দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং ভিডিও খবর দেখতে protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম