কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেছেন, আমাদের সামগ্রিক জীবন জুড়ে রয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অস্তিত্ব। বাংলা ও বাঙালির সমাজ জীবনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনা এক অবিচ্ছিন্ন সুতায় গাঁথা। রবীন্দ্রনাথের ভাবনা ও তার সাহিত্যকর্মের নিবিড় চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে তাকে পরিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও প্রাত্যহিক জীবনে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে। আজকে আমাদের দেশে যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা দর্শনের সঙ্গে তার মিল রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন শিক্ষার জন্য প্রকৃতির কাছে যাও। আজকের শিক্ষাক্রমে এই বিষয়টি উঠে এসেছে। রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রতিদিনের কর্মে, অনুপ্রেরণায় ও আপন মর্যাদায় বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। কেননা, বাঙালির সামগ্রিক জীবনে রবীন্দ্রনাথের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য।
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা শাখার উদ্যোগ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীর বর্ণিল আয়োজনের আলোচনাপর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লায় রবী ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৮ মে, ২৫ বৈশাখ) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা শাখা এ আয়োজন করে।
যে সঙ্গীত বেঁজে উঠলে বাঙালি জাতি সম্মান প্রদর্শন করে সেই সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’….এর রচয়িতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম, জীবনাচরণ নিয়ে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন নজরুল গবেষক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আলী হোসেন চৌধুরী, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ কলেজ পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক বিজন কুমার চক্রবর্তী।
আলোচনাপর্বে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট রবীন্দ্র অনুরাগী অধ্যক্ষ নিখিল চন্দ্র রায়।
অনুষ্ঠানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করেন বদরুল হুদা জেনু ও কামরুজ্জামান।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে কবিগুরুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা শাখার সদস্যরা।
বিশিষ্ট সঙ্গীত প্রশিক্ষক মিতাপালের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনাপর্বে সংগীতে অংশ নেয় ধ্রুব অরিজিৎ চক্রবর্তী, শায়লা বিনতে বাশার, পূর্ণ সাহা, মৈত্রী দাশগুপ্ত, শিপ্রা সরকার,
আলপনা দাশ, প্রলাপ দাশ, সোনালী, পল্লবী, সম্প্রীতি, আরাধ্যা, রেসি, চিত্রা, অন্তরা, তুষ্টি, অর্ণব, ঐশি, অর্থি, শ্রী, পৃথা, জয়শ্রী, আরণ্য, ধ্রুব, পূর্ণ, অর্ঘ, আপন, প্রদীপ, হুমায়ুন, গৌতম, প্রানঞ্জল, জয়দেব, আলপনা, অহনা, সুধা, অদিতি, চিত্রা, দিশা, দিয়া, আঁচল, রানী, দিবা, আংকিতা, প্রতিষ্ঠা, পূজা, বন্যা, রিয়া, টুশি, নোভা, রত্না, ভুমি, অর্ক।
অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে আদিতি হালদার ও সভ্যতা দেবনাথ।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে মানপ্রাপ্তদের সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম