পারিবারিক কলহর জের ধরে পাষন্ড এক পিতা অবুঝ দুই শিশু সন্তানকে পাশের ঘরে রেখে স্ত্রী ও শাশুড়িকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হালগাও গ্রামের চাঞ্চল্যকর এঘটনায় আটক হয়ে লোকমান এখন কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগারে।গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় লোকমান হোসেন তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ঘাতক লোকমান ও তার স্ত্রী ফারজানা দম্পত্তির দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে রিমি আক্তারের বয়স ৫ বছর। আর ছেলে আরাফাতের বয়স মাত্র ৯ মাস। তাদের পাষন্ড বাবা এখন কারাগারে। আর মা পরপারে।শিশু দুটি বর্তমানে চাচা দেলোয়ার ও চাচী আকলিমা আক্তারের হেফাজতে রয়েছে। এমন দু:সময়ে অবুঝ, এতিম শিশু দুটির পাশে দাঁড়াল কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সোহান সরকার, বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক পিপিএম শিশু দুটির জন্য, জামা, জুতা, খেলনা, গুড়োদুধ, বিস্কিট, চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য নিয়ে ওদের চাচা দেলোয়ারের বাড়িতে গিয়ে এসব সামগ্রী পৌঁছে দেন এবং শিশু দুইটির খোঁজখবর নেন।এসময় পুলিশ কর্মকর্তারা শিশু দুটির লালন পালনে কোন সমস্যা হলে তাদেরকে জানানোর জন্য হেফজতকারি চাচা-চাচীকে অবহিত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সোহান সরকার বলেন, ‘কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে অসহায় শিশু দুটির জন্য উপহার সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে এসেছি আগামী দিনগুলোতে শিশু দুটির পাশে থাকবে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে পুলিশ তাঁদের সার্বিক সহযোগিতা করবে।’
শিশুদের বাড়িতে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজুল বারি নয়ন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুন্সি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস ছালামসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম