সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে নাঙ্গলকোটে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফেরার পথে স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়ার সময়ে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুশ্চি বাজারে বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার গাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি খাবার হোটেলেও ভাংচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় লালমাই উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে লালমাই থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন – কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পরতী গ্রামের মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে মো. ফরহাদ উদ্দিন, জামুয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাকির হোসেন, মাওলানা আব্দুল লতিফের ছেলে কাজী জাফর আহম্মদ রাজন, মৃত আলী আশ্রাফ মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন, আমুয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবু হানিফ, আব্দুল বারিকের ছেলে জুবায়ের, সুলতান আহম্মদের ছেলে জয়নাল কাজী, রহমতপুর চেঙ্গাহাটা গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে আবুল হাশেম সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, আজ সকালে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান ও বাগমারা উত্তর-দক্ষিণ, পেরুল উত্তর-দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে লালমাইয়ের ভুশ্চি বাজার হয়ে নাঙ্গলকোটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। ভুশ্চি বাজার পৌঁছেই স্থানীয় করিম মজুমদার মার্কেট সংলগ্ন স্থানে তার গাড়িটি রেখে নামাজ পড়তে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এর আগে দুর্বৃত্তরা মেজবান রেস্টুরেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানও ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার বাগমারা ও পেরুল ইউনিয়নে আমি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষ করে ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করে আসার পথিমধ্যে (ভুশ্চি বাজারে) আমার কিছু শুভাকাঙ্খিদের সাথে দেখা করে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যাই, নামাজ শেষ করে এসে দেখি স্থানীয় একটি হোটেল এবং আমার গাড়িটি ভাংচুর অবস্থায় পড়ে আছে। আমার ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসে।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদল কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম লোকমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম, মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া নামাজ পড়তে মসজিদে যান। এ সময় ফরহাদের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী এসে প্রথমে মেজবান রেস্টুরেন্ট ভাংচুর করে, পরে ভুশ্চি বাজার তদন্ত কেন্দ্রের সামনে রাখা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং গাড়িতে থাকা কিছু নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।’
Last Updated on June 11, 2025 7:22 pm by প্রতি সময়