বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার মৃত্যুদিবসে সাধারণত বিভিন্ন স্মরণসভা ও আয়োজন থাকে। তবে এবার করোনাভাইরাসের কারণে শিল্পাচার্যের মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ শুক্রবার সকালে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করা হয়।
১৯৭৬ সালের ২৮ মে ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন বিশ্ববরেণ্য এই চিত্রশিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
দেশের চিত্রশিল্প আন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বৃহত্তর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। আঁকার প্রতি তার ঝোঁক ছিল ছোটবেলা থেকেই। এসএসসি পাসের পর তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে ভর্তি হন কলকাতা আর্টস স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
সেখান থেকে স্নাতক পাশ করে ঢাকায় এসে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাপ্টসে’। পরে চারু ও কারুকলা কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু ও কারুকলা ইনস্টিটিউট নামে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর এবং ময়মনসিংহে একটি গ্যালারিও প্রতিষ্ঠা করে গেছেন তিনি।
জয়নুল আবেদিনের ১৯৪২ -৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের করুণ ছবি মানুষের হৃদয়কে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। চিত্রকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি তুলে ধরেছেন এ দেশের অনাহারী, অধিকারহারা, বঞ্চিত মানুষের জীবন সংগ্রামের বাস্তবচিত্র। তার আঁকা ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’ এবং ১৯৭০ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ছবি আজও হৃদয় স্পর্শ করে।
অনুমান করা হয় তার চিত্রকর্মের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। চিত্রকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য শিল্পাচার্য উপাধি লাভ করেন শিল্পী জয়নুল আবেদিন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম