‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি।’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে দিবসটি উপলক্ষে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে সচেতনতামূলক এক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে শেষ হয়।

কমপ্লেক্সের সেমিনার কক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শঙ্খজিৎ সমাজপতি, মেডিকেল অফিসার ( ইউনানি) ডা. সোহেল রানা, মেডিকেল অফিসার ডা. শারমিন সুলতানা, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ( এসএসিএমও) আবুল কালাম আজাদ, এ এইচ রকিব, সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকসানা আক্তার, রাজিয়া সুলতানা, প্রধান অফিস সহকারী হুমায়ুন কবির, নুরুল ইসলাম, ইপিআই প্রধান আবুল কাশেম, ব্র্যাকের পিও বিল্লাল মিয়া, প্রোগ্রাম অফিসার অয়ন ভট্টাচার্যসহ উপজেলার সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন যক্ষ্মা নির্মূলে সবাইকে সচেতন হয়ে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। যক্ষ্মা প্রতিরোধ করতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার অনুরোধ করেন এবং দুই সপ্তাহের বেশি কাশি হলেই হাসপাতালে গিয়ে কফ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, যক্ষ্মা হলে ভয়ের কিছু নেই চিকিৎসায় যক্ষ্মা ভালো হয়। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়া আনার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।