কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মান্দারি গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। ওই উপজেলার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ি। কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছেন। আবার জামিনেও বেরিয়ে আসেন। সবশেষ ২০১০ সালের একটি মাদক মামলায় জামিনে বেরিয়ে এসে আর আদালতের দুয়ারে যেতে হয়নি দেলোয়ারকে। কারণ দেলোয়ার জামিনে বেরিয়ে ভারত সীমান্ত এলাকায় বসবাস শুরু করে। সেখানেও মাদকের চালানের সাথে নিজের সম্পৃক্ততা রাখতেন। সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে থেকেও মাঝেমধ্যে নিজ বাড়ি মান্দারিতে আসা যাওয়া করতেন। কিন্তু মান্দারিতে এবারেরে আসাটা মাদক ব্যবসায়ি দেলোয়ারের জন্য সুখকর হয়নি। মান্দারিতে তার আসার খবর পেয়ে বেরসিক পুলিশের হাত থেকে আর রেহাই মেলেনি বারো বছর আত্মগোপনে থাকা দেলোয়ারের।
মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার পুলিশ এসআই মনিরুল ইসলাম হাতকড়া পরিয়ে দেলোয়ারকে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার (৯ নভেম্বর) তাকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজ প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় দুইটি মাদক মামলায় তিন বছর ও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানা ছিল।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেন সদর দক্ষিণ থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী। বুধবার বিকেলে তিনি জানান, একের পর এক মাদকসহ গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে বেরিয়ে মামলা থেকে বাঁচার জন্য নিজ এলাকার সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় চলে যান দেলোয়ার। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি বসবাস করা শুরু করেন। হঠাৎ বাড়িতে এলেও সেখানে অবস্থান করতেন না তিনি। মঙ্গলবার রাতে এসআই মনিরুল ইসলাম দেলোেয়ারের আগমনের সংবাদ গোপনে পেয়ে দ্রুত মান্দারী গ্রামে যান এবং কৌশলে তাকে গ্রেফতার করেন। তখন সে নিজেকে স্ট্রোকের রোগী পরিচয় দিয়ে অসুস্থতার ভান করে। এরপর তাকে এনে উপজেলা হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তার তার প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং শারীরিক অবস্থা ভালো আছে জানান। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে দুইটি মামলায় মোট আট বছরের সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানা ছিল।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম