পানির অপর নাম জীবন। আর সেই পানি নিয়ে ভেজাল কারবার চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সুনির্দিষ্ট মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ফুড গ্রেড নয় এমন প্লাষ্টিক মোড়কে পানি উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে বিপণনের দায়ে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে চৌধুরী মার্কেটিং নামে একটি কারখানার মালিক ও ডিস্ট্রিবিউটর। কেবল গ্রেফতারই নয়, ভোক্তা অধিকার আইনে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট দুইজনকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
ঘটনাটি ১৯ জুলাই শনিবার কুমিল্লা কোতয়ালি থানাধীন বারপাড়া এলাকায় মেসার্স চৌধুরী মার্কেটিং কারখানায় ও ডিস্ট্রিবিউটিং পয়েন্টে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ওই কারখানা ও ডিস্ট্রিবিউটিং পয়েন্টে অভিযান চালায়। অভিযানে বিএসটিআই’র অনুমোদন না নিয়ে অননুমোদিত ব্র্যান্ডের নামে ডিস্টিল ওয়াটার, ব্যাটারীর পানি এবং খাবার পানি উৎপাদন ও প্যাকেটজাত করে বিপণনের দায়ে কারখানার মালিক চৌদ্দগ্রামের সমসপুর গ্রামের আবদুর রহমান চৌধুরীর ছেলে আবদুল মান্নান চৌধুরী (৪৫) এবং কারখানার ডিস্ট্রিবিউটর কুমিল্লা শহরের দক্ষিণ চর্থা (বড় পুকুরপাড়) এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে মো. মহিউদ্দিন (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ এসব অপরাধ আমলে নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কারখানার মালিক আবদুল মান্নান চৌধুরীকে দুই লাখ টাকা এবং ডিস্ট্রিবিউটর মহিউদ্দিনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করে দেন।
র্যাব জানায়, মেসার্স চৌধুরী মার্কেটিং নামক প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে খাবার পানির জার ব্যবসায় নিয়োজিত ছিল। পরে বেশি লাভের আশায় বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়া, কেমিস্টবিহীন, সুনির্দিষ্ট মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ফুড গ্রেড নয় এমন প্লাষ্টিক মোড়কে পানি উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে বিপণন করে আসছিল।
এছাড়াও কোন রকম অনুমতি ছাড়াই খাবার পানিকে জারিক্যানে সিল্ড মোড়কে (ঠঙখঠঙ) ব্র্যান্ডের নকল ও ভেজাল ব্যাটারী পানি এবং নামবিহীন ব্যাটারী পানি উৎপাদন ও বিপণন করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটি মান নিয়ন্ত্রণহীন ও অননুমোদিত মিনারেল কনটেন্টেড খাবার পানি ও ব্যাটারীর পানি উৎপাদন ও বাজারজাত করে দীর্ঘদিন ধরে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম