বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানই নিজের বড় পরিচয় উল্লেখ করে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের বলেছেন, শিক্ষকতা পেশার পরিচয় দিয়ে আমার চাকরি জীবন শুরু হলেও আমি একজন ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এটাই আমার বড় পরিচয়। আর এই পরিচয়ের সম্মান রক্ষা করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবেনা। আজকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে যে সম্মাননা পেয়েছি এটা সারাজীবনের জন্য বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ সম্মান আমার প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। কর্মজীবনে যতদিন থাকবো এবং এরপরও যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। বীর মুক্তিযোদ্ধারাই আমাদের সকল অবস্থান ও সকল সাফল্যের দাবিদার।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর গোয়ালপট্টি এলাকায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-কুমিল্লা জেলা কমান্ড কার্যালয়ে সংসদের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহণের পর অনুভূতি প্রকাশ করে এসব বলেন ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম শিকারপুরীর সুযোগ্য সন্তান প্রফেসর মো. জামাল নাছের।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল বলেন, ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বিশিষ্টজনদের গত ৪০ বছর ধরে কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এধরণের সম্মাননা দিয়ে আসছে। আমরা মনে করি সমাজের ভালো মানুষ ও তাদের যোগ্য সন্তানরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করার মধ্যদিয়ে এদেশ ও সমাজকে এগিয়ে নেবে। আজকে তাদের সম্মানিত করার মধ্যেই বর্তমান প্রজন্ম গৌরবান্বিত হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার নন্দন চৌধুরীসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম