কুমিল্লার মুরাদনগরের আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামের দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার আট আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৯ জুলাই) কুমিল্লার ১১নং আমলী আদালতের বিচারক মমিনুল হক মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পরিদর্শক মো. সাদেকুর রহমান। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে থাকা আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। আজ বুধবার শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলায় গ্রেফতার আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সোমবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১১নং আমলি আদালতে প্রত্যেক আসামির ৫ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আবু তাহের ভূইয়া। এবিষয়ে আজ শুনানী ধার্যদিনে গ্রেফতার আসামি কড়ইবাড়ি গ্রামের বাচ্চু মিয়া (মেম্বার), রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, মো. বায়েজ মাস্টার, দুলাল, আকাশ, নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি প্রথমে বাঙ্গরা থানার পুলিশ এবং সোমবার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলার তদন্ত করছেন জেলা ডিবি পুলিশের এসআই নয়ন কুমার চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক ব্যবসা ও একটি মোবাইল চুরির বিরোধ নিয়ে মব তৈরি করে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন- ওই গ্রামের খলিলুর রহমান জুয়েলের স্ত্রী রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে তাসপিয়া আক্তার জোনাকি এবং ছেলে রাসেল। এ সময় গুরুতর আহত হন রুবির ছোট মেয়ে রুমা আক্তার। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া নিহতের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনকে এজহার নামীয় এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় র্যাব এবং যৌথবাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Last Updated on July 9, 2025 6:52 pm by প্রতি সময়