কুমিল্লার জেলার সবচেয়ে বেশি ইটভাটা মুরাদনগর উপজেলায়। প্রায় অর্ধশতাধিক ইটভাটার মধ্যে ১৫/২০টিরই নেই কোনো ছাড়পত্র। নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোলঘেঁষেই এসব ইটভাটার অবস্থান। উপজেলা প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তর প্রায়ই অভিান পরিচালনা করে থাকে অবৈধ ইটভাটায়। কখনো জরিমানা, কখনো বা জরিমানার সঙ্গে ইটভাটার চিমনি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এরপরও কমছে না অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মুরাদনগরের বাখরনগর এলাকায় অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করায় এবিসি নামের একটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর,কুমিল্লা কার্যালয়। পরিবেশ আইন অমান্য করে অবৈধ উপায়ে ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত করার অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানকে একলাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খাঁন। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ রায়হান মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন জানান, জরিমানার পাশাপাশি ওই ইটভাটার অনুমোদন না থাকায় এটির চিমনি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।অবৈধ ইটভাটা, কৃষি জমির মাটি ও পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহষ্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এই উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নে এমবিআই নামের একটি অবৈধ ইটভাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও এটির চিমনি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, চিমনি ভেঙ্গে ফেলা হলেও কয়েক দিন যেতে না যেতেই এসব ইটভাটায় আবারো শুরু হয় কার্যক্রম। ইট প্রস্তুত, পোড়ানো সবই ওপেন সিক্রেট সিস্টেমে হয়ে থাকে।
Last Updated on February 6, 2025 9:18 pm by প্রতি সময়