ছবি: উত্তর ত্রিশ গ্রাম অংশে গোমতী নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলন। #
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বা অন্য যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ কুমিল্লার মুরাদনগর অংশে গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও কোম্পানীগঞ্জ-মুরাদনগর সড়ক এবং ফসলী জমি হুমকির মুখে পড়েছে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর বালু ও পাশের জমির মাটি উত্তোলন কারণে।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রাম অংশে গোমতী নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলন করছে একটি চক্র। গোমতী থেকে প্রতিদিন এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি নদীতে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউপি’র চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘নদীতে যে ড্রেজার মেশিন চালু রয়েছে এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।উপজেলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে বিভিন্ন সময়ে রেজ্যুলেশন করা হয়েছে নদীতে ড্রেজার চলতে পারবেনা। তবুও প্রভাব খাটিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছে।ড্রেজার মেশিনে বালু ও মাটি উত্তোলনের কারণে চরের জমি ভেঙ্গে কৃষকের ফসলী জমি নষ্ট হওয়ায় চাষাবাদ করতে পারছেনা অনেক কৃষক পরিবারের লোকজন।’
জানতে চাইলে মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া নদীতে ড্রেজার মেশিন ব্যবহারের অনুমতি আমি দিতে পারিনা।’
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম